আল আকসায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও ইসরায়েলি পুলিশ

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মসজিদ প্রাঙ্গণে পুলিশের অভিযানে সাড়ে তিনশ'র বেশি মানুষ গ্রেফতার হয়েছে। আল আকসায় উত্তেজনা কমাতে মার্কিন আবেদন পাশ কাটিয়ে বুধবার সংঘর্ষে জড়ায় বিবদমানরা।

মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদি নিস্তারপর্বের ছুটির প্রাক্কালে গাজায় আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময়ের সূত্রপাত হয়। এতেই পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।

প্রথম দফায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও বুধবার গভীর রাতে ইসরায়েলি পুলিশ ফের মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। মসজিদ পরিচালনাকারী ইসলামিক সংস্থা ওয়াকফের কর্মীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি পুলিশ স্টান গ্রেনেড এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করে মুসল্লীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ সময় মুসল্লিরা হাতের কাছে যা পেয়েছে তা-ই পুলিশকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলছে, এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানায়, কয়েক ডজন যুবক মসজিদে পাথর এবং আতশবাজি নিয়ে আসে। তারা ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওয়াকফ অবশ্য বলছে, নামাজ শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ মসজিদে প্রবেশ করে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, ‘আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, মুসল্লিদের ওপর হামলা মার্কিন প্রচেষ্টার জন্য একটি চপেটাঘাত।’

রমজান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল।

এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগে প্রথম দফায় পুলিশ মসজিদে অভিযান চালায়। তারা দাবি করেছিল, মুখোশধারী কয়েকজন মসজিদে ভেতরে অবস্থান করছে। সংলাপের মাধ্যমে তাদের বের করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা মসজিদে ঢোকে।

 

 

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এ সময় রাবার বুলেট এবং মারধরে ১২ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছিলেন। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তাদেরও দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

মসজিদে সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের উত্তেজনা কমানো অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স