মিসর থেকে গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় ত্রাণবহর

পানি, খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বোঝাই প্রায় ২০টি ট্রাক মিসর থেকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের একমাত্র পথ রাফাহ ক্রসিংয়ের মিসর অংশে অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ত্রাণ প্রবেশ নিয়ে মিসর ও ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। শুক্রবার এসব ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাবে গাজায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার ও ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার  জরুরি সরবরাহ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। যদিও গত কয়েক দিন ধরে কিছু মাত্রায় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। শীর্ষ স্থানীয় ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলছে এই ত্রাণ অপতুল।

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের শাইনা লো বলেছেন, গাজার লাখো মানুষের জন্য ন্যূনতম ১০০ ট্রাক মানবিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

চলমান  সংঘাত শুরুর আগে থেকেই গাজার ১২ লাখ বাসিন্দা জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল ছিল। জাতিসংঘ সংস্থাটির নারী মুখপাত্র জুলিয়েট টৌমা বলেছেন, গাজা উপত্যকায় দারিদ্র্যতা অনেক তীব্র। যুদ্ধের আগে থেকেই পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। এখন তা মর্মান্তিক হচ্ছে।

রাফাহ  ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ সরবরাহের বিষয়ে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মিসরীয় প্রেসিডন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির মধ্যে সমঝোতা হয়। ইসরায়েলে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সিসির সঙ্গে ফোনালাপ করেন বাইডেন। বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী  বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিশ্চিত করেছেন, মিসর থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেবে না ইসরায়েল। তবে দেশটি শুধু  খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যক পণ্য প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।

গাজা নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি অত্যাবশ্যক। জ্বালানির ঘাটতির কারণে পানির সংকট বাড়ছে।