মিসরে রাফাহ ক্রসিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় ২০ লাখ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে রয়েছেন। পানি, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি নেই। টিকে থাকার জন্য গাজার সব কিছু প্রয়োজন। শুক্রবার রাফাহ ক্রসিংয়ে মিসরের অংশে তিনি এসব কথা বলেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

গাজায় ত্রাণ সরবরাহের সম্ভাবনা মাথায় রেখে শুক্রবার রাফাহ ক্রসিং পৌঁছেছেন গুতেরেস। এখানে শতাধিক ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। গাজায় প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত একমাত্র পথ এই রাফাহ ক্রসিং।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে এই বিধিনিষেধের বিষয়ে স্পষ্ট হতে কাজ করছি। যাতে এসব ট্রাক যেখানে প্রয়োজন সেখানে পৌঁছাতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব এসব ট্রাক আমাদের নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেছেন, মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুত। এই ট্রাকগুলো জীবনরক্ষাকারী। এগুলো অনেক মানুষের জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার রাতে বলেছিলেন, শুক্রবার নাগাদ ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রায় ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে। এ বিষয়ে মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কোনও ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেনি।

মিসর জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে রাফাহ ক্রসিংয়ের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আগামীকাল (শনিবার) বা এরপর ত্রাণের প্রথম চালান গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি জাপানে সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজা উপত্যকায় সামরিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি সেখানকার মানুষের জন্য বিপর্যয়কর হবে।