পশ্চিম তীরে সহিংসতাকারী ইসরায়েলি সেটেলারদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

পশ্চিম তীরে চরম সহিংসতার অপরাধে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা, শান্তি নষ্ট করে এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর নিশ্চিত করেছে। 

পশ্চিম তীরে সহিংসতাকারী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ব্যক্তিদের পরিবারেরও সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সহিংসতার সাথে জড়িত ইসরায়েলি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা ভুক্তভোগী হবেন।

ব্লিঙ্কেন বলেন, পশ্চিম তীরে শান্তি নষ্ট করে এমন ইসরায়েলিদের আগে থেকেই প্রতিরোধ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা এই প্রতিরোধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আমরা এর আগেও জোর দিয়েছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এ বিষয়ে বারবার তাগাদা দিয়েছেন। 

এদিকে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক বলেছেন, সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

জাতিসংঘ বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেটেলারদের করা ৩১৪টি  হামলা রেকর্ড করেছে সংস্থাটি। একই সময়ে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যসহ চারজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সাংবাদিকদের বলেন, দুঃখজনকভাবে, ইসরায়েলি চরমপন্থিরা সহিংসতার সৃষ্টি করেছে যা অবশ্যই নিন্দনীয়। আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্র যাদেরকে বিশেষ অধিকার দিয়েছে তারা বাদে কেউ সহিসংতার জন্ম দিতে পারে না। 

১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েলিরা। তখন থেকে ২৫০টিরও বেশি বসতিতে ৭ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ এই জনগোষ্ঠীকে অবৈধ বলে মনে করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই এর বিরোধিতা করে আসছে।