নেতানিয়াহু সরকারের ওপর আস্থা হারিয়েছে জিম্মিদের পরিবার

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নেতানিয়াহু সরকারের উপর আস্থা হারিয়েছে ফেলেছে তাদের পরিবার। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জিম্মিদের বেশ কয়েকটি পরিবার এই কথা জানিয়েছে। ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন এর বরাতে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এই খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ১৩৬ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।

পরিবারগুলোর বরাত দিয়ে কেএএন জানিয়েছে, জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে তারা নিজেরাই পদক্ষেপ নেবে বলে জোর দিয়েছেন। তবে তারা ঠিক কী করবেন তা নির্দিষ্ট করে বলেননি।

একটি পরিবারকে উদ্ধৃত করে কেএএনছে বলেছে, ‘আলোচনায় যেকোনও ধরণের বিলম্ব ইসরায়েলি জিম্মিদের জীবনকে বিপদে ফেলবে।’

এদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে কয়েক ডজন পরিবার উত্তর ইসরায়েলের সিজারিয়ায় নেতানিয়াহুর বাড়িতে চলে গেছে। তাদের উদ্দেশ্য জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে তাকে চাপ দেওয়া।

মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান তামির পারদো সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। জিম্মিদের মুক্তির জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি দাবি জানাচ্ছেন তারা।

তামির পারদো কেএএন’কে বলেন, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিম্মিদের হত্যার মাধ্যমে শেষ করা মানে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো হেরেছে। নাগরিকদের পরিত্যাগ করার বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো তাদের হেফাজতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির দাবি করছে।

হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নিরলস বিমান ও স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় অন্তত ২৪ হাজার ৭৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এসময় আহত হয়েছে আরও ৬২ হাজার ১০৮ জন।