অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, এতে বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন সময় রাফাতে এই হামলা হলো যখন ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায় বড় ধরনের ইসরায়েলি হামলার আশঙ্কা করছেন ফিলিস্তিনিরা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার ভোরে ইসরায়েলি হামলার পর নিহতের সংখ্যা নিয়ে একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, হামলায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছে। উভয় বার্তা সংস্থা গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলা রাফাতে ১৪টি বাড়ি ও ৩ মসজিদে আঘাত হেনেছে।
তবে আল জাজিরার আরবি সংস্করণের সাংবাদিকরা মসজিদে হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহতের কথা জানিয়েছেন। হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাফাতে হামলায় নিহতের সংখ্যা শতাধিক।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল রাফায় বেসামরিকদের এবং যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিশানা করা অব্যাহত রেখেছে। দখলদারদের সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ রাফায় যুদ্ধ সম্প্রসারণে বিপর্যয়কর পরিণতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সতর্কবার্তা ও আতঙ্কের প্রমাণ।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রাফার শাবৌরা জেলায় একাধিক সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং তা শেষ হয়েছে।
তারা আরও দাবি করেছে, রাফাতে রবিবার দিবাগত রাতের অভিযানে হামাসের হাতে থাকা দুই ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে।
সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ফার্নান্দো সিমন মারমান ও লুইস হার নামের দুই জিম্মির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল।
হামাস সতর্ক করে বলেছে, রাফাতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হলে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা ভেস্তে যাবে
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত বিজয়ের আগ পর্যন্ত শুধু সামরিক চাপের ফলেই সব জিম্মিকে মুক্ত করা যেতে পারে।