লেবাননে ইসরায়েলি হামলার পর হিজবুল্লাহ’র হুমকি

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের ইসরায়েলি হামলার পর হুমকি দিয়েছে দেশটির ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গোষ্ঠীটি বলেছে, এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে মূল্য দিতে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

৭ অক্টোবরের পর বুধবার ছিল লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন। ইসরায়েলের বড় ধরনের হামলায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচ শিশুসহ দশজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। লেবানন থেকে ছোড়া রকেটে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার জবাবে এই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

 হিজবুল্লাহ রাজনীতিক হাসান ফাদলাল্লাহ রয়টার্সকে বলেছেন, এসব অপরাধের জন্য শত্রুদের মূল্য দিতে হবে। প্রতিরোধ গোষ্ঠী জনগণকে রক্ষার বৈধ অধিকারের চর্চা অব্যাহত রাখবে।

হিজবুল্লাহ সূত্র জানিয়েছে, বুধবার নাবাতিয়েহ এলাকায় পৃথক ইসরায়েলি হামলায় তাদের কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

নাবাতিয়েহ এলাকায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। 

গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর লেবানন ও ইসরায়েল সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়মিত পাল্টা পাল্টি গোলাবর্ষণ করে আসছে। 

উভয়পক্ষ দাবি করেছে, তারা সর্বাত্মক যুদ্ধ চায় না। সংঘাত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় সীমিত রয়েছে।

হিজবুল্লাহের চিন্তা-ভাবনার সম্পর্কে অবগত এক সূত্র জানিয়েছে, নাবাতিয়েহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলা উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত। কিন্তু তা তাদের অলিখিত সংঘাতের নিয়মের মধ্যেই রয়েছে।

লেবানন সীমান্তে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭০ জনই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা, প্রায় এক ডজন ইসরায়েলি যোদ্ধা এবং ৫ বেসামরিক ইসরায়েলি রয়েছেন। এই সংঘাতের কারণে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।