রাফাহ শহরে আবারও অভিযান চালাবে ইসরায়েল?

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরটিকে হামাসের শেষ ঘাঁটি বলে মনে করছে ইসরায়েল। সেখানে শিগগিরই সেনা পাঠাবে দেশটি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির এমন প্রস্তুতির নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি মিডিয়া। শহরটিতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।   এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই কয়েক সপ্তাহের জন্য রাফাহতে অভিযান স্থগিত রাখে ইসরায়েল। তবে ‘খুব শিগগিরই’ তা পুনরায় শুরু হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্র্তপক্ষ। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর ইসরায়েলি সরকারের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি পত্রিকা হাইওম এসব তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু উল্লেখযোগ্য ফুটেজ রাফাহ শহরে বাস্তুচ্যুতদের জন্য তাঁবু তৈরি করতে দেখা গেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্রের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলেস তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মিসরীয় সীমান্তবর্তী শহর রাফাহ। এর জনসংখ্যা এখন দশ লাখ ছাড়িয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেখানে উপত্যকাটির অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুতরা আশ্রয় নিচ্ছেন।

নেতানিয়াহু সরকার বলেছে, রাফাহ শহরে হামাসের চারটি অক্ষত যুদ্ধ ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সেগুলো ইসলামপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠীর পিছু হটা হাজার হাজার যোদ্ধাদের মাধ্যমে শক্তিশালী করা হয়েছে।

৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হয়। তখন হামাসের হাতে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এছাড়া, আরও প্রায় আড়াইশো জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

তখন গাজা যুদ্ধে বিজয়, রাফাহ শহর দখল, হামাসকে নির্মূল করা এবং সেখানে আটকে থাকা জিম্মিদের পুনরুদ্ধার করা না পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু সরকার।