নাসা কর্তৃক প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে স্থল ও সমুদ্রপৃষ্ঠে তাপমাত্রা ১ দশমিক ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। যা ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সময়কালের মধ্যে কখনও হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়ালসের এআরসি সেন্টার অব এক্সেলেন্স ফর ক্লাইমেট সিস্টেম সায়েন্সের পরিচালক অ্যানডি পিটম্যান বলেন, ‘আবহাওয়াবিদরা ৮০’র দশক থেকে এই বিষয়ে সাবধান করে আসছেন। অন্তত ২০০০ সাল থেকে তো এটি নিতান্তই অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। ’
এ ছাড়া এপ্রিলের এই পরিসংখ্যান থেকে আবহাওয়াবিদরা জানান, এই প্রক্রিয়া মূলত শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসেই। পিটম্যান আরও জানান, প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলনে যে অঙ্গীকার করা হয়েছে তা নিতান্তই ‘অতি আশাবাদী কল্পনা’ মাত্র। কেননা, এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন বন্ধ করে দেওয়া হলেও তা ওই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে কিনা সন্দেহ।
আবহাওয়াবিদরা আরও জানান, এল নিনোর প্রভাবেই এমনটা হচ্ছে।
এল নিনো হচ্ছে সমুদ্রের উপরিভাগের জলের তাপমাত্রার একটি নিরবচ্ছিন্ন পরিবর্তন। পূর্ব-কেন্দ্রীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় শান্ত সমুদ্রের জলের গড়পড়তা তাপমাত্রায় যখন কমপক্ষে ০.৫° সেলসিয়াস হ্রাস-বৃদ্ধি হয় তখনকার পরিস্থিতিকে এল নিনো বলে বিবেচনা করা হয়। ২ থেকে ৭ বছর পরপর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
২০১৫ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরে পরিণত করতে ভূমিকা রেখেছে এল নিনো। এ বছর প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যা এবং উত্তর গোলার্ধের ভয়াবহ উষ্ণতাও এল নিনোরই ফলাফল। সূত্র: গার্ডিয়ান
আরও খবর পড়ুন:
/ইউআর/এএ/