হরমুজে জাহাজের সুরক্ষায় শক্তি ব্যবহারে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, হরমুজ প্রণালীতে রুশ জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শক্তি ব্যবহারে প্রস্তুত রয়েছে মস্কো। বৃহস্পতিবার ইস্টার্ন অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।

20190827_2_37929616_47089085

ইরান ও ওমানে মধ্য দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার সরু পথ হরমুজ প্রণালী দিয়েই বিশ্বের সামুদ্রিক তেল বাণিজ্যের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রতিদিন এই পথ দিয়ে প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ ব্যারেল তেল রফতানি করা হয়। এছাড়া পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনও ধরনের সামুদ্রিক যোগাযোগের জন্য পথটি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। পথটির ওপর ইরাক, কুয়েত, বাহরাইন ও কাতারের সব বন্দর, আরব আমিরাতের বেশিরভাগ বন্দরসহ সৌদি আরবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

পুতিন জানান, হরমুজ প্রণালী ঘিরে যা ঘটছে তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া। একইসঙ্গে অঞ্চলটিতে জাহাজের অবাধ চলাচল ও সুরক্ষা নিশ্চিত ও উত্তেজনা হ্রাসে সমাধানের উপায় বের করার আহ্বান জানান।

রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, একবছর আগে মস্কো হরমুজ প্রণালীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ সবগুলো দেশের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিল।

হরমুজ প্রণালীতে ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনেকদিন ধরে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।  জুলাইতে হরমুজ প্রণালী থেকে যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করে ইরানের নিরাপত্তারক্ষীরা। ফলে এ অঞ্চল দিয়ে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্য চাইছে নিজেদের মতো করে একটি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে।

এই ঘটনার পর পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে পণ্যবাহী জাহাজের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমন্বিত নৌ-প্রহরার প্রস্তাব করে যুক্তরাজ্য। শর্ত সাপেক্ষে এ প্রহরায় যোগ দিতে পারে জার্মানিও। ইউরোপীয় নৌবহর গঠনের প্রস্তাবকে ‘শত্রুভাবাপন্ন’ ও ‘উসকানিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে ইরান।