প্রথম নারী হিসেবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের দায়িত্ব নিলেন ক্রেসিডা

ক্রেসিডা ডিকপ্রথম নারী হিসেবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন কমিশনার ক্রেসিডা ডিক। সোমবার লন্ডনে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের দিন উজ্জ্বল নীল রঙের শার্ট পরে কার্যালয়ে হাজির হন ক্রেসিডা। প্রথমদিন সঙ্গে এনেছিলেন বেশ কয়েকটি কলা।

ব্রিটেনের প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ক্রেসিডার প্রথম দায়িত্বে থাকছে পার্লামেন্টে হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা কেইথ পালমারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া। সোমবার লন্ডনে এ শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের কয়েকশ পুলিশ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান।

কমিশনার হিসেবে ৪৩ হাজার পুলিশ ও কর্মীর দায়িত্ব থাকবে ক্রেসিডার ওপর। এ সংস্থার বার্ষিক নিরাপত্তা বাজেট প্রায় ৩০০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড। ক্রেসিডার বার্ষিক বেতন হবে বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড। এর আগের কমিশনার স্যার বার্নার্ড হোগানের চেয়ে তিনি ৪০ হাজার পাউন্ড কম বেতন নিতে স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছেন।

ফেব্রুয়ারিতে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কমিশনার হিসেবে নাম ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় ক্রেসিডা বলেছিলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও অসাধারণ সুযোগ। লন্ডনের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য থাকবে আমার। মেট্রোপলিটন পুলিশের নারী ও পুরুষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আবার কাজ করাটা দারুণ হবে।

২০১৫ সালে ক্রেসিডা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ছোট দায়িত্বে নিয়োজিত হন। এর আগে পুলিশি কার্যক্রমে প্রায় ৩০ বছর যুক্ত ছিলেন তিনি। দুই শিক্ষাবিদের মেয়ে ক্রেসিডা পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ডে।  ১৯৮৩ সালে তিনি মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগ দেন।

ক্রেসিডার নিয়োগের বিষয়ে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৮৭ বছরের ইতিহাসে ক্রেসিডা ডিক প্রথম নারী কমিশনার এবং দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল পুলিশ কর্মকর্তা... লন্ডনের জন্য এটা একটি ঐতিহাসিক দিন এবং মেয়র হিসেবে আমি গর্বিত।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পুলিশ বাহিনী। ১৯২৯ সালে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়। লন্ডনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংস্থাটির জাতীয়ভাবেও দায়িত্ব পালন করে। সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই ও ভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

/এএ/