অস্ট্রেলিয়ার সৈনিকদের প্রতি ব্রিটিশ রাজপরিবারের শ্রদ্ধাঞ্জলি

শনিবার (২০ অক্টোবর) ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি ও এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল গত একশ বছরে বিভিন্ন যুদ্ধে নিহত হওয়া অস্ট্রেলিয়াবাসী সৈন্যদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন। এর পাশাপাশি প্রিন্স হ্যারি সংস্কারের পর অ্যানজাক ওয়ার মেমোরিয়ালের নতুন অংশের উদ্বোধন করেছেন। প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মার্কেলের সঙ্গে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিডনির হাইড পার্কে অবস্থিত ওয়ার মেমোরিয়ালটি ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেটির উদ্বোধন করেছিলেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের আরেক সদস্য প্রিন্স হেনরি।s4.reutersmedia.net

অ্যানজেক ওয়্যার মেমোরিয়াল স্থাপিত হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে। পরবর্তীতে কোরীয় যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ ও ১৮৫৬-১৯০১ পর্যন্ত চলা ঔপনিবেশিক যুদ্ধে নিহতদের স্মৃতি সংরক্ষণেও ব্যবহৃত হতে থাকে স্থাপনাটি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া থেকে চার লাখ ২০ হাজার সৈন্য যোগ দিয়েছিল, যা ওই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মোট পুরুষ জনসংখ্যার প্রায় ৩৮ দশমিক সাত শতাংশ। এদের মধ্যে এক লাখ ৬৪ হাজার জনই নিউ সাউথ ওয়েলস অঞ্চলের।

শনিবার অনুষ্ঠানস্থলে অস্ট্রেলিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা জেনারেল ডেভিড হারলে ১৯৩৪ সালে স্থাপনাটির উদ্বোধনের তথ্য জানাতে গিয়ে বলেছেন, প্রিন্স হেনরির উপস্থিতিতে সেদিন হাজির হয়েছিল প্রায় এক লাখ মানুষ। সেই ধারাবাহিকতাতে এবার ব্রিটিশ রাজ পরিবারের আরেক সদস্য ২০১৮ সালে এসে উদ্বোধন করলেন সংস্কার হওয়া ওয়ার মেমোরিয়ালটির। ৪ কোটি ডলার ব্যায়ে স্থাপনাটির সংস্কার করা হয়েছে এবং অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে ১৯৩০ সালে প্রস্তুত করা ব্রুস ডেলিটের মূল নকশা।

সংস্কার কর্মসূচির আওতায় সেখানে একটি ঝরনা, হল ও লাইব্রেরি সংযুক্ত করা হয়েছে। হলটিতে অস্ট্রেলিয়ার নিহত যোদ্ধাদের বাসস্থানের এলাকা এমন সব শহর, নগর ও গ্রামের মাটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। মোট এক হাজার সাতশ একটি স্থানের মাটি রয়েছে সেখানে।

যুক্তরাজ্যেভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিরর লিখেছে, এই অনুষ্ঠানেই প্রথমবারের মতো হ্যারি তার নতুন পদবি অনুযায়ী ইনসিগনিয়া পরেছেন। ‘রানির অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মকর্তা’ হিসেবে তাকে ওই বিশেষ ইনসিগনিয়া দেওয়া হয়েছে।