জাকির নায়েকের পিস টিভির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে তদন্ত

জাকির নায়েকের পিস টিভির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে যুক্তরাজ্যে। ঘৃণা ছড়ানো ও তরুণদের জঙ্গিবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এ তদন্ত চালাচ্ছে দেশটির সম্প্রচার মাধ্যম নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘অফিস অব কমিউনিকেশনস’ (অফকম)। ব্রিটিশ একটি থিংক ট্যাংক এরই মধ্যে পিস টিভির সম্প্রচার চালু থাকা নিয়ে তুলেছে প্রশ্ন।জাকির নায়েক

২০১৬ সালে ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে যে হামলার ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন সেই হামলায় অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন জাকির নায়েক। তিনি তার মালিকানাধীন পিস টিভির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের দর্শকদের কাছেও প্রচার করছেন তার বক্তব্য। সংশ্লিষ্টরা এই টিভি চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠানকে চরমপন্থী মনে করেন।

ভারত থেকে নির্বাসন নিয়ে জাকির নায়েক (৫৩) এখন অবস্থান করছেন মালয়েশিয়ায়। ইসলামের মৌলবাদী সংস্করণ প্রচারের দায়ে তাকে ‘ঘৃণা প্রচারক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পেশায় চিকিৎসক জাকির নায়েক ভারতের মুম্বাইতে ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়ার কাছে জাকির নায়েকের প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগ ঘৃণা ছড়ানো ও তরুণদের জঙ্গিবাদে প্ররোচনা দেওয়ার।

যুক্তরাজ্যের সম্প্রচার মাধ্যম নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থা অফকম জানিয়েছে, সম্প্রচার বিধিমালা লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে তারা পিস টিভির বিরুদ্ধে ছয়টি তদন্ত চালাচ্ছে। পিস টিভিকে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে ইতোমধ্যে দুইবার দোষী সাব্যস্ত করেছে অফকম, যদিও চ্যানেলটি এখনও তার লাইসেন্স হারায়নি।

অফকমের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঘৃণাবাদী ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার এবং অপরাধের প্ররোচিত করার মতো ছয়টি বিষয়ে পিস টিভির বিরুদ্ধে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের ফলাফল আমরা দ্রুতই প্রকাশ করব। ক্ষতিকর অনুষ্ঠান প্রচারে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া পর্যন্ত আমার ধারাবাহিকভাবে ভূমিকা রাখি।’

জাকির নায়েক ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পিস টিভি। চ্যানেলটির দাবি, বিশ্বজুড়ে তাদের দর্শক সংখ্যা ২০ কোটি। বাংলাদেশ ও ভারতে নিষিদ্ধ হলেও যুক্তরাজ্যে ইংলিশ ও উর্দু, দুই ভাষাতেই সম্প্রচারিত হচ্ছে পিস টিভি। যুক্তরাজ্যে পিস টিভির সম্প্রচার এখনও কেন বন্ধ করে দেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি।’