অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় ডোজ বুস্টার হিসেবে কাজ করবে: গবেষণা

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার প্রতিষেধক নিয়ে নতুন এক সুখবর খবর দিলো বিশেষজ্ঞরা। এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজকে বলা হচ্ছে ‘বুস্টার’, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় জানা গেছে, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ডোজ শরীরে অ্যান্টিবডি এবং টি-সেলের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান ৪৫ সপ্তাহ অর্থাৎ ৩১৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ডোজের ৬ মাস পরে নিলে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে বলেও গবেষণা এসেছে।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান পরিচালক অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন, করোনার ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বর্তমান ভ্যাকসিনগুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। ডেল্টা এবং আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে দুই ডোজ টিকা ভালোভাবেই সুরক্ষা দেয় বলেও প্রমাণ মিলেছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া সমপন্ন। আর আগামী শরতের মধ্যে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে তৃতীয় ডোজ দেওয়ার আগে যারা করোনার প্রথম ডোজই পাননি সে বিষয়টি নিশ্চিতের তাগিদ দিচ্ছেন অ্যান্ড্রু পোলার্ড। এটি যত দ্রুত সম্ভব করতে করতে হবে। পরবর্তীতে তৃতীয় ডোজ।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবার প্রথম উচিত শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা। যেন পৃথিবী করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়’।

সোমবারের প্রকাশিত অক্সফোর্ডের গবেষণায় এসেছে, গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী যারা দেরিতে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন এবং অন্য ৯০ জন তৃতীয় ডোজ নেন তাদের শরীরে কি ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে সেটি দেখা হয়েছে। অক্সফোর্ডের এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের বয়স ৫৫ বছরের নিচে।

অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউটের গবেষক তেরেসা ল্যাম্বে বলেন, বুস্টার টিকাদান কর্মসূচিতে আমরা এই ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করতে পারবো কি-না সেটি নিয়ে কিছু উদ্বেগ ছিল। তবে শঙ্কা এখন কিছুটা কাটলেও এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। বিশ্বে এখন ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসসহ বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরাও প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন নিয়ে নতুনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।