পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দুকধারীর হামলার সময় ক্লাবে শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক খবরে জানা গিয়েছিল অন্তত ২০জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলির পর বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখে হামলাকারী। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, হামলাকারীর কাছে বোমা রয়েছে। এরপর পুলিশ ক্লাবটি ঘিরে রাখে ও আহতদের হাসপাতালে পাঠায়। ভোরে অভিযান চালিয়ে হামলাকারীকে হত্যা করে জিম্মিদের মুক্ত করে পুলিশ।
এ সম্পর্কিত খবর: ফ্লোরিডার সমকামী নাইটক্লাবে জিম্মি দশার অবসান, হামলাকারীসহ নিহত ২১
রবিবার সকাল সাতটায় আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ নিহতের সংখ্যা জানায় ২০ জন এবং ৪২ জন আহত হয়েছেন। এরপর রবিবার সকালে আয়োজিত আরেকটি প্রেস কনফারেন্সে ওরলান্ডোর মেয়র জানান, নিহতের সংখ্যা ৫০ জন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫৩ জন। আহতদের স্থানীয় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এফবিআই মুখপাত্র জানান, হামলাকারী চরমপন্থায় বিশ্বাসী হতে পারেন। হয়ত হামলাকারীর সঙ্গে আইএসের সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে তিনি জানান, তারা সব কিছুই বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করছেন।
এ সম্পর্কিত খবর: ফ্লোরিডার সমকামী নাইটক্লাবে জিম্মি দশা: ঘিরে রেখেছে পুলিশ
পুলিশ জানায়, জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযানের সময় গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হন। ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সোয়াট টিম অভিযান চালায়। বন্দুকধারী ৩০ জনকে জিম্মি করে রেখেছিল। অভিযানের সময় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান জন মিনা জানান, হামলাকারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হামলাকারী বেশ প্রস্তুতি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা জানেন না, হামলাকারী একা নাকি তার সঙ্গে কোনও গোষ্ঠী জড়িত আছে। বেশ কিছু সন্দেহজনক বস্তু ক্লাব ও হামলাকারীর গাড়িতে পাওয়া গেছে।
এ হামলার একদিন আগেই কনসার্ট চলার সময় বন্দুকধারীর গুলিতে আহত সংগীতশিল্পী ক্রিস্টিনা গ্রিমি মারা যান। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি।
এ সম্পর্কিত আরও খবর: ফ্লোরিডায় সমকামী নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর হামলা
/এএ/