ট্যাক্সিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছে কানাডিয়ানরা

ট্যাক্সি ভাড়া করে দলে দলে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছে দেশটিতে বসবাসরত কানাডিয়ানরা। মূলত দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত পার হতেই এই ব্যবস্থা। সীমান্ত অতিক্রম করা বিমান যাত্রীদের হোটেল কোয়ারেন্টিনের বাড়তি ব্যয় এড়াতে আকাশপথের বদলে ট্যাক্সিতে সীমান্ত পার হওয়াকেই অপেক্ষাকৃত নির্ঝঞ্জাট ভাবছেন তারা। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের কানাডা সীমান্তবর্তী এলাকায় গাড়ির চাপ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

নিয়ম অনুযায়ী, কানাডায় প্রবেশকারী সবাইকে দেশটিতে যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে অবশ্যই কোভিড নেগেটিভ থাকতে হবে। এছাড়া দেশে প্রবেশের পর তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে বিমানযাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের প্রথম তিন রাত সরকার অনুমোদিত হোটেলের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। এর খরচ পড়বে ৯৬১ মার্কিন ডলারের মতো।

অন্যদিকে ট্যাক্সিযোগে সীমান্ত পার হতে খরচ পড়ে ২০০ থেকে ২৫০ ডলার। ফলে লোকজন আকাশপথের বদলে স্থল সীমান্ত দিয়ে পারাপারের পথ বেছে নিয়েছে। নিউ ইয়র্কের বাফেলোর ৭১৬ লিমুজিনের জেনারেল ম্যানেজার জন আর্নেট রয়টার্সকে বলেন, তারা সকাল ৬টা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত কল দিতে থাকে। সীমান্ত পারাপারের জন্য আমাদের কাছে এতো বেশি সংখ্যক অনুরোধ আসছে যে, অনেককেই নাকচ করে দিতে হচ্ছে। সূত্র: আল  জাজিরা।