সফল অস্ত্রোপচারের পর মুক্তামনির বিষণ্নতা কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। রবিবার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দীন বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানান।
এর আগে, গতকাল শনিবার মুক্তামনির অপারেশন হয়। তাতে তার হাতের ডিজিজ পোরশন (রোগাক্রান্ত অংশ) কেটে ফেলতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। তবে তারা জানিয়েছে মুক্তামনির আরও অন্তত ছয়টি অপারেশন লাগবে।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেনও জানিয়েছেন অপরেশনের পর মুক্তামণি ভালো তবে ঝুঁকিমুক্ত নয়। তিনি বলেন, ‘আমি এখন তার (মুক্তামনি) সামনেই বসে রয়েছি। যখন তাকে জিজ্ঞেস করেছি তুমি কেমন আছো সে বলেছে, সে ভালো আছে, আপনি কেমন আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন মুক্তমানির ক্ষুধা পেয়েছে। তার জন্য উপযোগী খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ওর খাওয়া শেষে এখান থেকে বের হবো। তাতে অপারেশনের পর মুক্তার শারীরিক অবস্থার কতটুকু উন্নতি হলো সেটা টের পাওয়া যাবে।’ তবে তাকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করতে আরও বেশ সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হয় মুক্তামনিকে। এতোদিন মুক্তামনির রোগটিকে বিরল রোগ বলা হলেও গত শনিবার তার বায়োপসি করার পর জানা গেছে মুক্তামনির রক্তনালীতে টিউমার হয়েছে যেটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে হেমানজিওমা বলা হয়ে থাকে।
- মুক্তামনির সফল অস্ত্রোপচারে ছিলেন যে চিকিৎসকরা
- মুক্তামনির সফল অস্ত্রোপচার, চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
/জেএ/এমও/