বালু ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবয়ব

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে নির্মিত বৃহত্তম বালু ভাস্কর্য সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাতে বর্ণিল আতশবাজি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা পুলিশ এ ভাস্কর্যটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ৯ মার্চ খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৬ শিক্ষার্থী বালু দিয়ে এই ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শুরু করেন। জিরো পয়েন্টের ১০০ গজ পূর্বদিকে অবস্থিত এ বালু ভাস্কর্যের প্রধান ফটকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তুলে ধরা হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট। ভাস্কর্যটি এক নজর দেখতে ভিড় জমিয়েছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

বাংলার বুকে শেখ মুজিব

উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তার নির্দেশনায় দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে একদল কুচক্রী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। সেসময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই মেয়ের মধ্যে শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অপর মেয়ে শেখ রেহানা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকলেও সবসময় শেখ হাসিনার পাশে রয়েছেন।