এটিএন বাংলার তৎকালীন প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল জানান, ‘ওই সময়ের বাকি দু’টি টেলিভিশনের রাশ ফুটেজ রিপোর্টাররা সংগ্রহে রাখতে পেরেছিলেন কিনা, জানি না। তবে আমরা পারিনি। শুধু যতটুকু সংবাদে প্রচারিত হয়েছিল, ততটুকুই ছিল সম্বল।’
আরেক টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ২১ আগস্টের বেশ কিছু ‘এক্সক্লুসিভ’ ফুটেজ পায়। যাতে গ্রেনেড ওপর থেকে ছোড়া হয়েছে, তা স্পষ্ট বোঝা যায় । কিন্তু সেই ফুটেজ নিয়েও পড়তে হয়েছে নানা বিড়ম্বনায়। ওই টেলিভিশনের সাবেক এক সংবাদকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘সেভাবে প্রেসার না করা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশেষ সংস্থার সদস্যরা কয়েকবার ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ফুটেজে কারও ছবি আছে কিনা, জানতে চান। তাদের বার বার ছবি না থাকার কথা বলা হলেও তারা সেটা মানতে চাইছিলেন না।’
আর চ্যানেল আইতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ একবার প্রচারের পর বাদ দিয়ে দিতে হয়। যেখানে ওই হামলায় হরকাতুল জিহাদ ও ‘হাওয়া ভবন’-এর যোগসাজশ থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন শেখ হাসিনা। ২৪ আগস্ট সন্ধ্যার খবরে তা প্রচারিত হলেও পরবর্তী সংবাদে তা বাদ দিতে হয়, ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের কথায়।
আরও পড়ুন: ‘সাবধান থাকবেন, ১৫ আগস্টের মতো আরও ঘটনা ঘটতে পারে’