একদিন আগেই ফাঁস হয় প্রশ্নপত্র, মূল হোতাদের কাছাকাছি র‌্যাব

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বেশ কয়েকটি চক্রের মধ্যে একটির মূল হোতাদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব-২। তারা এরইমধ্যে চক্রের একজনকে আটক করেছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে মূল হোতাদেরও আটক করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।

র‌্যাবের হাতে আটক সাব্বিরচক্রটির এক সদস্য ধামরাই সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির আহম্মেদ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করতো সে। চক্রের অন্য সদস্যরা তাকে এই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতো পরীক্ষার একদিন আগেই। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র।

সোমবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তালতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সাব্বিরকে আটক করে র‌্যাব-২। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাব সদস্যরা পেয়েছেন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। র‌্যাব জানায়, সাব্বির নিজে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে না। সে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির কাজটি করতো। কিন্তু তার কাছে মূল হোতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যেগুলো ধরে চক্রের মূল হোতাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফিরোজ কাউছার জানান, সাব্বির প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মিসাইল গ্রুপ ও আইসিটি গ্রুপে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে মিসাইল গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তার নিয়ন্ত্রণে থাকা একাধিক গ্রুপের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করতো। আর টাকার লেনদেন করতো বিকাশের মাধ্যমে।

সাব্বিরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর র‌্যাব-২ কর্মকর্তারা জানান, এই চক্রটি বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। এরইমধ্যে তারা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে আগাম প্রশ্নপত্রের বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছে বড় অঙ্কের টাকা। পরীক্ষার বিষয় ও ব্যক্তিভেদে প্রশ্নপত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের হোতা কারা সেটা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে র‌্যাব কর্মকর্তা ফিরোজ কাউছার বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দা তথ্য ও আটক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে সফলতা পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই অপরাধে তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময় আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মূল হোতারা।