টঙ্গী থেকে কলাবাগানে এসে হত্যা করা হয় জুলহাস-তনয়কে

গ্রেফতার করা আসাদুল্লাহমার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ৭ জন। তারা টঙ্গী থেকে প্রথমে কলাবাগান আসে। পরে কলাবাগানে জুলহাসের বাসার পাশের একটা মসজিদে নামাজ পড়ে। এরপর এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সাতজনের মধ্যে ৫ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। বাকি দুজন বাইরে থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল। এরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। এটি ছিল তাদের ২০১৬ সালের শেষ অপারেশন।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানে লেক সার্কাস এলাকার বাসায় ঢুকে জুলহাস ও তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মোট ১৩ জন জড়িত ছিল। এরমধ্যে আসাদুল্লাহসহ ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আসাদুল্লাহসহ দুজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া আরেকজনের নাম আরাফাত।

মনিরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতার আসাদুল্লাহর বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। সে যশোর পলিটেকনিকে পড়াশোনা করেছে। আসাদুল্লাহর বাবা ছিল জামায়াতের রুকন পর্যায়ের নেতা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগদানের আগে ২০১৫ সালে যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ছাত্রশিবিরের সাথী ছিল।

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে উত্তর বাড্ডায় এক পুলিশ সদস্যকে আহত করে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে আসাদুল্লাহ সরাসরি জড়িত ছিল। সেই অস্ত্রটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা আশা করছেন, আসাদুল্লাহকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সেই অস্ত্রটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

আরও পড়ুন:

জুলহাস-তনয় হত্যাকাণ্ড: টঙ্গী থেকে মূলহোতা গ্রেফতার