টঙ্গীর স্কুলছাত্র হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা কমলো

হাইকোর্টটঙ্গীর স্কুলছাত্র ইনজামুল হক হত্যা মামলায় ইব্রাহিম হোসেন সুমন ও মো. সাহেব আলীর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত অপর আসামি নাহিদ ইসলাম নাহিদকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এই মামলার পলাতক আসামি মো. হান্নানের সাত বছর কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট টঙ্গীর চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইনজামুল হক হত্যা মামলায় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক খালেদা ইয়াসমিন রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে টঙ্গীর আউচপাড়ার ইব্রাহিম হোসেন সুমন (২৫), একই এলাকার নাহিদ ইসলাম (২৮) ও মো. সাহেব আলীর (৩০) মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এছাড়া একই এলাকার মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. হান্নানকে (২৮) সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল হাইকোর্টে আসে। সেসবের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রায় দিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৭ অক্টোবর টঙ্গীর আউচপাড়া মোক্তারবাড়ি সড়ক এলাকার সফিউদ্দিন মোল্লার ছেলে উত্তরার সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইনজামুল হক নিখোঁজ হয়। পরে দুর্বৃত্তরা ইনজামুলের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ব্যাপারে ইনজামুলের ভগ্নিপতি মোবারক হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে টঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।