আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরে গেলো সেই সাহসী কিশোরী

বয়স না হতে বিয়ে দেওয়ায় নিজ থেকে তালাক নেওয়া মেয়েটি গত দুদিন ছিলেন পুলিশের সেফ হোমে (উইমেন সাপোর্ট সেন্টার)। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সেফ হোম থেকে থানা পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয় মেয়েটিকে। পরবর্তীতে আদালত তার পরিবার ডেকে তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন।

আরও পড়ুন:

জোর করে বিয়ে, তালাক নিয়েছে সাহসী কিশোরী

সেই কিশোরীকে হস্তান্তরে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি

উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের সহকারী পুলিশ কমিশনার মিনা মাহমুদা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আমরা লালবাগ থানা পুলিশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মেয়েটিকে বুঝিয়ে দিয়েছি। মেয়েটা আমাদের কাছে দুদিন ছিল। সে সুস্থ আছে এবং মানসিকভাবে ভালো আছে।

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, সেফ হোম থেকে মেয়েটাকে নিয়ে আমরা আদালতের যাই। আদালত তার পরিবারকে ডেকে তাদের কাছে তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সে এখন তার বাড়িতে আছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর নাম করা একটি স্কুলে পড়ছে এই কিশোরী। বিয়ের বয়সে পৌঁছতে এখনও তার দুই মাস বাকি। এরমধ্যেই তাকে জোর করে বিয়ে দেন মা-বাবা। কিশোরী কিছুতেই এ অন্যায় মেনে নিতে পারছিল না। পরে সহপাঠীদের সহযোগিতায় লালবাগ থানায় আশ্রয় নেয় মেয়েটি। সেখানে তার সম্মতিতে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এ সময় তার বাবা-মাকেও থানায় ডেকে আনে পুলিশ।

সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায়। স্বামীকে তালাক দেওয়ায় সাহসী এই মেয়েটিকে পরে তার বাবা বাড়িতে নিতে রাজি হননি। তখন তাকে পুলিশের সেফ হোমে (উইমেন সাপোর্ট সেন্টার) রাখা হয়।