বিমানবন্দরে তল্লাশিতে বাধা, চিকিৎসকসহ ৪ জনকে অফলোড

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা তল্লাশিতে বাধা ও নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় একজন চিকিৎসক ও  তার পরিবারের তিন সদস্যকে অফলোড করা হয়েছে। পরবর্তীতে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা। শরিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকালে নভোএয়ারের ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন ডা. সালেহিনসহ চার জন। অপর ব্যক্তিরা হলেন— ডা. আফসান, ইসরাত জাহান ও ইয়ারমিন  আরা। তবে তারা দেরি করায় নভোএয়ারের ফ্লাইট ধরতে পারেননি। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে এসে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটেন তারা। বিমানবন্দরের প্রবেশে মুখেই একবার তারা এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) কর্মীদের সঙ্গে তল্লাশি নিয়ে হৈচৈ করেন। পরবর্তীতে বোডিং কার্ড নিয়ে উড়োজাহাজে ওঠার আগে অ্যান্টি হাইজেকিং গেটে তল্লাশিতে তারা আপত্তি তোলেন। জুতা ও বেল্ট খুলতে বললে এভসেক কর্মীদের গালাগাল করেন ডা. সালেহিনসহ অন্যরা। এসময় তারা নানা ধরনের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন নিরাপত্তা কর্মীরা। এমনকি চিকিৎসকদের হেনস্তা করায় ম্যাজিস্ট্রেট বদলি হয়েছেন উল্লেখ করে এভসেক কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এই পরিবারটি। এভসেকের উচ্চ পদস্থ কর্তকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। নিরাপত্তা তল্লাশিতে বাধা দেওয়া এবং  ফ্লাইটের জন্য নিরাপদ মনে না হওয়ায় তাদের অফলোড করে এভসেক।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরের দৃশ্যপরে তারা দুঃখ প্রকাশ করলে বিমানবন্দরের  ভ্রাম্যমাণ আদালতে সৌপর্দ না করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওই চার ব্যক্তিকে।  জানা গেছে, ডা. সালেহিন নিজেকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ উল-আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকলের জন্য নিরাপত্তা তল্লাশি বাধ্যতামূলক। কিন্তু তারা সেটি মানতে চাননি, বরং নিরাপত্তা কর্মীদের গালাগালি করেছেন, যা  আইনিভাবে অপরাধ।’

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ চিকিৎসক দম্পতিকে আটক করা হয়। ঘোষণা না দিয়ে বিমানবন্দরে গুলি নিয়ে প্রবেশ করায় তাদের আটক করে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:

ঘোষণা ছাড়া গুলি বহন, বিমানবন্দরে চিকিৎসক দম্পতি আটক