‘স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের বিষে’ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন স্বামী

মো. ওয়ালিদ (৩০), বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি কথা বলতে পারছেন না। স্বজনদের দাবি, স্ত্রী তার কাছে টাকা দাবি করেছিলেন। সেই টাকা ওয়ালিদ দিতে না পারায় কৌশলে কিছু পান করিয়ে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন স্ত্রী।

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মৌলভীডাঙ্গী গ্রামের মৃত মফিউর রহমানের ছেলে ওয়ালিদ। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রী। ওয়ালিদের বড় ভাই মো. ওয়াসিম সাংবাদিকদের জানান, নবাবগঞ্জ থাকা অবস্থায় একই এলাকার বাসিন্দা নূর নাহার ইসলাম নিশুকে (৩০) গত ১৯ আগস্ট বিয়ে করে ওয়ালিদ। পরে সাভার গোলাপ গ্রাম এলাকায় রুম ভাড়া করে থাকতো তারা। কিছু দিনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় তাদের মধ্যে। শুরু হয় অশান্তি, ঝগড়াঝাটি। ওই নারী তার ভাইয়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘পরে আমরা জানতে পারি ওই নারী বিবাহিত, তার স্বামী ও দুই সন্তানও রয়েছে। ওই নারী তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। তারা একটি প্রতারক চক্র।’ 

তিনি আরও দাবি করেন, প্রথম দফায় স্ত্রী’র দাবি করা টাকা ওয়ালিদ যোগাড় করতে না পেরে তাদের বাসায় এসে ৫০ হাজার টাকা চায়। পরে ভাইকে তারা টাকা যোগাড় করে দেয়। এর পরপরই ওই নারী টাকা নিয়ে তার প্রথম স্বামী মো. মাক্কু আসলামের সঙ্গে চলে যায়। কিছু দিন পর গত ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ালিদের বাসায় এসে পুনরায় এক লাখ টাকা দাবি করে সে। ওয়ালিদ জানিয়ে দেয় তার পক্ষে আর টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এর পর ১৮ সেপ্টেম্বর বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে ওয়ালিদকে নিয়ে যায় সে। সেখানে ওই নারী ও তার প্রথম স্বামী মাক্কু আসলামসহ কয়েক জন জোরপূর্বক তাকে কিছু (কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ) পান করিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাভার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, ‘ওয়ালিদ নাক-কান-গলা বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বর্তমানে কথা বলতে পারছেন না। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিষয়টি সাভার থানাকে জানানো হয়েছে।’