ঢামেকে পরীক্ষার কথা বলে নিয়ে যাওয়া রোগী উধাও

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার কথা বলে নিয়ে যাওয়া এক রোগীর খোঁজ মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই রোগীর নাম মাইনুদ্দিন (২৮)। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ওই রোগীর স্বজনরা।

মাইনুদ্দিনের বাবা রবিউল হক ও ভাই জামাল বলেন, গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে মাইনুদ্দিনকে গ্রামের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার ১১ নং মটরী ইউনিয়নে লক্ষ্মীপুর গ্রাম থেকে ঢামেক হাসপাতাল আনা হয়। সে খুবই দুর্বল, পা ফুলে গেছে। পরে চিকিৎসক তাকে মেডিসিন বিভাগের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।

তারা আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে এক চিকিৎসক (ডা. আশিক জামান ) রোগীকে দশ তলায় পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান। সেখানে তাকে একটি কক্ষে নিয়ে বসান ওই চিকিৎসক। এসময় জামাল খাবার আনতে যান। খাবার এনে সেখানে আর রোগীকে পাননি তিনি।

জামাল বলেন, চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করি রোগী কোথায়। উত্তরে জানান, ‘তাকে আরেক চিকিৎসক সাত তলায় নিয়ে গেছেন। আপনি ঘণ্টা দুই পরে আসেন।’ সেই থেকে বেশ কয়েকবার সেখানে খোঁজ নিতে যাই। কিন্তু তাকে আর পাইনি। পরে ওই চিকিৎসকরা বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘আপনার রোগী কোথায় গেছে আমরা কিভাবে বলবো?’

এভাবে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে যায়। কিন্তু রোগীর কোনও সন্ধান পাননি তারা। তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ ও কর্মরত আনসারদের জানান। তাদের পরামর্শে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করেন। হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হককে বিষয়টি জানালে তিনি তাদের শাহবাগ থানায় পাঠান। পরে রাকে অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসাবে গ্রহণ করে পুলিশ।

ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ বলেন, রোগীর স্বজনদের ভাষ্যমতে চিকিৎসক ডা. আশিক জামান রোগীকে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে আর ওয়ার্ডে পৌঁছে দেননি। বিষয়টি পরিচালককে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি, এর সঙ্গে কারা জড়িত তাও দেখা হচ্ছে।

রাত সোয়া ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা  পর্যন্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।