রামপুরায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু: সুপারভাইজার ও হেলপারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহতের ঘটনায় ওই বাসের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) একদিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ আল আমিন মীর। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে রামপুরার থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা এসব তথ্য জানান।

এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর এই দুই আসামির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালত।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) নিরাপদ সড়ক আইনে নিহত শিক্ষার্থীর মা রাশিদা বেগম মামলা দায়ের করেন।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলায় অনাবিলের চালক সোহেলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গণপিটুনির শিকার সেই চালক এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশের পাহারায় চিকিৎসাধীন। মামলায় বাসের হেলপার চাঁদ মিয়াকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত, আট বাসে উত্তেজিত জনতার আগুন