ঈদের ছুটিতে বেড়ানো

ঘুরে আসুন সবুজের উদ্যান ‘জিন্দা পার্ক’ থেকে

সবুজের মধ্যে অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী আর কারুকাজের নিদর্শন জিন্দা পার্ক। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একটি গ্রামের প্রায় ৫০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পার্ক। সম্পূর্ণ এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা জিন্দা পার্কের মূল কাণ্ডারি ‘অগ্রপথিক পল্লী সমিতি।’ এলাকার প্রায় ৫ হাজার সদস্য নিয়ে ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে এই সমিতি। দীর্ঘ ৩৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই পার্ক। অত্যন্ত যত্নসহকারে এই পার্কের পরিচর্যা করা হচ্ছে যার প্রমাণ মিলবে গেট দিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই। পরিষ্কার রাস্তার দু’পাশে কার্পেটের মতো ঘাস। দেখলেই  ইচ্ছা জাগে ঘাসে নিজের শরীর বিছিয়ে দেওয়ার।

জিন্দা পার্ক

কোলাহলমুক্ত বিশুদ্ধ পরিবেশের উদাহরণ হতে পারে এই পার্ক। প্রায় ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশি গাছ-গাছালি আছে এখানে। আছে সুবিশাল ৫টি জলাধার যার পাড়ে বসে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করতে পারবেন প্রকৃতির কলতান। আছে ট্রি-হাউস, টিলা, ফুলের বাগান এবং লেকের ওপর চমৎকার ব্রিজ।   

পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘোরার জন্য ঢাকার কাছে অন্যতম শান্ত জায়গা বলা যেতে পারে এই পার্ককে।            

জিন্দা পার্ক
যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে উত্তরা হয়ে টঙ্গী ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর মিরেরবাজার চৌরাস্তা থেকে ভুলতার দিকে হাতের ডানপাশে যে রাস্তা গিয়েছে (কাঞ্চন ব্রিজের দিকে) সেটি ধরে ২টি বড় ব্রিজ পার হয়ে কিছুদূর যেতে হবে। হাতের বামে ছোট একটি রাস্তা পড়বে। সেটি ধরে কিছুদূর গেলেই জিন্দা পার্কের দেখা মিলবে। এটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মধ্যে পড়েছে। আরেকটি সহজ উপায় হল পূর্বাচল ৩০০ ফিট রাস্তা। কুড়িল মোড় থেকে সিএনজি নিয়ে যাওয়া যাবে। সময় লাগবে ২০ মিনিট আর সিএনজি ভাড়া রিজার্ভ ৫০০ টাকা।

জিন্দা পার্ক
পার্কের ভেতরে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা খরচ করতে হবে। বাইরে থেকে খাবার নিয়ে প্রবেশ করলে জনপ্রতি অতিরিক্ত চার্জ দেয়া লাগবে। নিজস্ব গাড়ি পার্কিং-এর সু-ব্যবস্থা রয়েছে। মাগরিবের আজানের পর পার্কে থাকা নিষেধ। সপ্তাহের সাতদিনই পার্কটি খোলা থাকে। 

 

/এনএ/