বাতিঘর আসছে ২৯ ডিসেম্বর

batighar

 

চট্টগ্রামের জনপ্রিয় বুক ক্যাফে বাতিঘর এখন ঢাকায়। আগামী ২৯ ডিসেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বাতিঘর। বাংলামোটর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সপ্তম তলায় গড়ে তোলা হয়েছে এই অত্যাধুনিক বইয়ের সাম্রাজ্য। বুধবার বাতিঘর ঢাকার কার্যালয়ে এই তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার দীপঙ্কর দাস।

ঢাকা বাতিঘর উদ্বোধন ও এর বিশেষত্ব সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করার লক্ষ্যে আজকের এই আয়োজন। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।

বাতিঘরের কর্ণধান দীপঙ্কর দাস জানান, মুঘল স্থাপত্য বিশেষত লালবাগ কেল্লার আদলে বাতিঘরের অভ্যন্তরীণ সজ্জা করেছেন শিল্পী শাহীনুর রহমান, আলোকসজ্জা করেছেন নাসিরুল হক খোকন ও জুনায়েদ ইউসুফ। ঢাকায় নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তে। ঢাকা শহরের অন্যতম প্রাচীন ও সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ স্থাপত্য, যে স্থাপনা ঢাকা শহরের এক ধরণের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সেই প্রতীক তুলে ধরার ছোট্ট প্রয়াস করেছে বাতিঘর।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তার বক্তব্যে সবাইকে বাতিঘরে আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, সবাইকে বইয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,  এত সুন্দর বইয়ের দোকান অভাবনীয়। চট্টগ্রামে বাতিঘরের সফলতা ও জনপ্রিয়তা দেখেই তিনি ঢাকায় বাতিঘরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ঢাকার বাতিঘরও সফল হবে। কারণ এখানে চাহিদা মোতাবেক সব বই রয়েছে।

তিনি জানান, বইয়ের দোকান মানেই ব্যবসা। কিন্তু ব্যবসা হোক বা না হোক আমরা একটি স্বপ্ন শুরু করেছি। তিনি সেই স্বপ্নে সবাইকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান।batighaar

সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বাতিঘর ঢাকার উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এবং এর স্থাপত্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, এক একটি বইয়ের দোকান প্রকাশকদের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে।

বাতিঘর ঢাকাতে থাকছে প্রায় শতাধিক বিষয়ের ১০ হাজার লেখক ও এক হাজার দেশি-বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার লক্ষাধিক বইয়ের সংগ্রহ। সংরক্ষিত প্রকাশক কর্নার, শিশু-কিশোর কর্নার, লিটল ম্যাগাজিন ও সাহিত্য সাময়িকী কর্নার এবং ক্যাফে। এখানে খাওয়া-দাওয়া মূল উপজীব্য নয়, তাই খাবার বলতে শুধু চা-কফি ও বিস্কুট থাকবে।

বাতিঘরে এসে বইয়ের সাম্রাজ্যে হারিয়ে যাবেন সবাই এটাই সবার প্রত্যাশা।