ফ্রিজার বার্ন কী?

ফ্রিজার থেকে লাল মাংস বের করে যদি দেখেন রঙ বদলে হয়ে গেছে হালকা বাদামি, কিংবা ক্রিস্টালের মতো গুঁড়া গুঁড়া বরফে আচ্ছাদিত হয়ে আছে সেটি- তাহলে বুঝবেন ফ্রিজার বার্নের শিকার হয়েছে মাংস। রান্না করা খাবার, আইসক্রিমসহ অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রেও হতে পারে এমনটি।

AskM.FreezerBurn-FTR
কেন হয় ফ্রিজার বার্ন
বাইরের গরম বাতাস ঢোকা ফ্রিজার বার্নের অন্যতম কারণ। খাবার শুষ্ক হয়ে নষ্ট হয়ে যায় এর রঙ। তবে এতে খাবার ফেলে দেওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই। ফ্রিজার বার্নের কারণে গুণগত মান নষ্ট হয় না খাবারের, কেবল নষ্ট হয়ে যেতে পারে স্বাদ।
কীভাবে রোধ করবেন ফ্রিজার বার্ন

  • ভেতরের বাতাস বাইরে এবং বাইরের বাতাস ফ্রিজারের ভেতরে যতদূর সম্ভব যেন কম প্রবেশ করে সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
  • ফ্রিজারের টেম্পারেচার সেট করুন ঠিক মতো। কতোটুকু খাবার রাখছেন ফ্রিজারে তার উপর নির্ভর করে টেম্পারেচার কোল্ড, লো, মিডিয়াম ইত্যাদি ঠিক করুন।
  • গরম খাবার রাখবেন না ফ্রিজারে। রুম টেম্পারেচারে এনে তারপর রাখুন। খাবার অনেকদিনের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে নরমাল ফ্রিজে কয়েক ঘণ্টা রেখে তারপর ফ্রিজারে রাখবেন।
  • এক ব্যাগে বা পাত্রে বেশি খাবার রাখবেন না। মাছ-মাংস হোক কিংবা রান্না করা খাবার, সেগুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে রাখুন।
  • ফ্রিজার সম্পূর্ণ ভরবেন না। চারভাগের একভাগ খালি রাখুন।
  • নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিষ্কার করুন ফ্রিজার।
  • খাবার রাখার ক্ষেত্রে ফ্রিজার সেইফ কন্টেইনার ব্যবহার করুন। ফ্রিজার ব্যাগ পাওয়া যায় বাজারে। এ ধরনের ব্যাগ বা জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
  • খাবার ভালো রাখার জন্য অতিরিক্ত এক লেয়ারের পাতলা প্লাস্টিক অথবা ফয়েল পেপার ব্যবহার করতে পারেন।
  • জিপলক ব্যাগ বা মুখবন্ধ ব্যাগে খাবার রাখার সময় ভেতরের বাতাস সম্পূর্ণভাবে বের করে ফেলবেন।
  • তবে যত ভালোভাবেই রাখুন না কেন, ফ্রিজারে খুব বেশিদিন খাবার সংরক্ষণ করে খাবেন না। প্রয়োজনে প্যাকেটের গায়ে লিখে রাখুন কবে সেটি রাখছেন।