কীভাবে খাবেন উপকারী ছাতু?

কেন খাবেন ছাতু?
প্রোটিনের পরিমাণ যেমন বেশি, তেমনি ছাতুতে কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায়। থাকে বিভিন্ন মিনারেলও। ১০০ গ্রাম ছাতুতে কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম। ফলে শক্তির জোগান দেয় এটি।

ছাতুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভালো খাবার হতে পারে ছাতু। এক দিকে শক্তির জোগান দেয়, আবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজ়ের পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

ছাতু খেলে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, জ়িঙ্ক ইত্যাদি খনিজের চাহিদাও পূরণ হয়ে যায়। তাই মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টসের জন্যও ভরসা রাখা যায় ছাতুর উপরে। রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখতে এর জুড়ি নেই।

পেশির গঠনে, ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে, চুল পড়া কমাতেও ছাতু সহায়ক। ছাতুতে যে আয়রন থাকে, তা নারীদের জন্য খুব জরুরি।

এতে ফাইবার থাকে। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে এর জুড়ি নেই। পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ রোজ ৩০-৪০ গ্রাম ছাতু খেতে পারেন। তবে কতটা পরিমাণে ছাতু খাবেন তা নির্ভর করে একজনের বয়স, কাজ ও খাদ্যতালিকার উপরে। একটু বেশি বয়সে ছাতু খেলে অনেকের পেট ভার করতে পারে। তাই রোজ ১ চামচ করে ছাতু খাওয়া শুরু করে দেখতে পারেন। হজম করতে পারলে ধীরে-ধীরে পরিমাণ বাড়ান। দিনে ছাতু খাওয়াই ভালো, রাতে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।

কীভাবে খাবেন?
ছোলার ছাতু অনেকভাবেই খাওয়া যায়। পানিতে অল্প লবণ, লেবুর রস দিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়। ছাতুর পুর দিয়ে রুটি, পরোটা বানিয়ে ফেলতে পারেন। বানানো যায় কাবাবও।

ডায়াবেটিস বা ওবেসিটির সমস্যা না থাকলে দুধ, চিনি, কলা মিশিয়ে খান ছাতু। শিশুদের দুধে মিশিয়ে দিতে পারেন ছাতু, তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের পর।

লাড্ডু, হালুয়া বা বরফি বানিয়েও খাওয়া যায় ছাতু।

তথ্য- আনন্দবাজার পত্রিকা