প্রকৃতির কাছে আকাশের কাছে

ট্রাফিক জ্যামের এ শহরে রুফটপ রেস্তোরাঁগুলো যেন খোলা আকাশটাকে আরও কাছে এনে দেয়। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে থাকা এমন দুটি রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মারা যাক আজ।

গ্রিন লাউঞ্জ
চার বছর আগে যাত্রা শুরু করে গ্রিন লাউঞ্জ। রাজধানীর বাংলামোটর এলাকার রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ১৮ তলায় মিলবে এর সন্ধান। গ্রিন লাউঞ্জের সিইও জসিম উদ্দিন জানান তাদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হকের আইডিয়া থেকেই সবুজ এ রেস্তোরাঁর আবির্ভাব। ‘যানবাহনের কালো ধোঁয়ার এ শহরে মানুষের জন্য ফ্রেশ এয়ার আনাই ছিল আমাদের চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্য।’

গ্রিন লাউঞ্জ

রেস্তোরাঁটির স্লোগান ‘ন্যাচার প্লেটেড’ যথাযথভাবেই দৃশ্যমান। ১৮তম ফ্লোরে সত্যিই যেন প্রকৃতিকে পরিবেশন করা হচ্ছে প্লেটে করে। ওপরে আকাশ আর চারপাশে কেবল সবুজ আর সবুজ। আছে পানি ও জলজ ফুল। এমনকি সন্ধ্যায় কানে আসবে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকও।

গ্রিন লাউঞ্জ

‘দেশের বাইরে ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা এখানে বেশ ভালোমতো কাজে লেগেছে।’ বললেন জসিম উদ্দিন।

গ্রিন লাউঞ্জ-এর ইন্টারন্যাশনাল ব্যুফে ওয়েতে আছে ইউরোপিয়ান, ইন্ডিয়ান, কনটিনেন্টাল, থাই ও চাইনিজ। আছে ভরপুর দেশি খাবারও। খাবারের দাম ৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা।

সিয়েলো
রাজধানীর খ্যাতনামা রুফটপ রেস্তোরাঁ ও কফিশপ সিয়েলো। এর প্রতিষ্ঠাতা সজিব মাহমুদ বললেন, ‘ঢাকায় আকাশের দেখা পাই না সহজে। তাই এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যেখানে খোলা আকাশের নিচে কিছু সুন্দর মুহূর্তের দেখা মিলবে। যানজটের গ্যাঁড়াকল ছেড়ে উপরের দিকে গেলে সত্যিই আকাশটাকে আরও বড় মনে হয়। 

সিয়েলো

সিয়েলোর ফুড আইটেমও বেশ বৈচিত্র্যে ভরা। ১৫০ থেকে ২৭০ টাকায় রয়েছে কফি। আছে স্ন্যাকস, স্যান্ডউইচ, সেট মেন্যু, গ্রিলড ফিশ ও সি-ফুডের বিশাল আয়োজন। খাবারের দাম ৩০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা।

সিয়েলো

এ রেস্তোরাঁর মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জাটাও দেখার মতো। আসবাব ও ইন্টেরিয়রের পরতে পরতে আছে উত্তরাধুনিকতার ছোঁয়া। রাজধানীর পরীবাগ ছাড়াও বনানীতে আরও একটি শাখা রয়েছে রেস্তোরাঁটির।

ছবি: সৈয়দ আল সাকিব