বেগুনি কেন নারী দিবসের রঙ?

নারী দিবসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বেগুনি রঙ। কেন এবং কীভাবে এই দিবসের প্রতীকে বেগুনি রঙ জুড়ে গেল?

 

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও এর শক্তিকেই নারী দিবসের বেগুনি রঙে প্রকাশ করা হয়। ২০১৮ সালে থিম কালার হিসেবে বেগুনি ঠাই পায় নারী দিবসে। নানা পণ্যে ব্যবহৃত রঙ নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্যানটোন। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি বেগুনিকে বছরের সেরা রঙ হিসেবে ঘোষণা দেয়।

কারণ হিসেবে প্যানটোন জানায়, মহাকাশের মতো অসীম এবং সম্ভাবনার একটি রঙ বেগুনি। দেখা না গেলেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি জানান দেয় মহাকাশের শক্তিশালী অস্তিত্ব।   

প্যানটোনের দেওয়া এই ব্যাখায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্‌যাপন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে এবং প্রতীক রঙ হিসেবে বেগুনিকে বেছে নেয়। সমান অধিকারের প্রতীক হিসেবে এরপর বেগুনি রঙ সামনে চলে এসেছে বারবারই।

 

বিংশ শতকের শুরুতে বেগুনির সঙ্গে সাদা ও সবুজ রঙ ব্যবহার করতেন নিজেদের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পথে নামা ব্রিটেনের নারীরা। তারা বলতেন, বেগুনি আভিজাত্যের প্রতীক। সাদা শুদ্ধতার এবং সবুজ আশার প্রতীক।

এছাড়াও আমেরিকান লেখক অ্যালিস ওয়ার্কার আফ্রিকান আমেরিকান নারীদের বৈষম্য নিয়ে একটি বই লেখেন, নাম ‘দ্য কালার পার্পেল।’ বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বইটি লিখে অ্যালিস প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী হিসেবে পুলিৎজার পুরস্কার পান। এভাবেই বেগুনি জড়িয়ে পড়ে নারীর সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে।