৫ উপায়ে দূর করুন ত্বকের বলিরেখা

বয়স বাড়ার আগেই আজকাল ত্বকে পড়ে যায় বলিরেখা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ ফুটে ওঠে দ্রুত। চোখের আশেপাশের ত্বক, ঠোঁট ও ঠোঁটের পাশের ত্বক কিংবা কপালে দেখা দেয় বলিরেখা। বলিরেখা দূর করে ত্বক টানটান ও মসৃণ করার জন্য প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদানের উপর ভরসা রাখতে পারেন।

 

১। গাজর ও আলু
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজর ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। কোলাজেন ত্বক টানটান করে এবং বলিরেখা পড়তে দেয় না। আলুতে থাকা অ্যাসিড ত্বকের যত্ন নেয় ভেতর থেকে। একটি গাজর আর আলু পেস্ট করে নিন। এই মিশ্রণে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া, এক চিমটি বেকিং সোডা আর সামান্য পানি মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

২। মধু
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। ত্বকে প্রাণ ফেরানোর পাশাপাশি দূরে রাখে বলিরেখা থেকে। হাতের তালুতে কিছুটা মধু নিয়ে গলায় ও মুখে লাগিয়ে নিন। এক-দুই মিনিট ম্যাসাজ করার পর আরও ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

৩। দই
ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ দই ত্বককে হাইড্রেট করে। ২ চা চামচ টক দই, ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁডড়া মিশিয়ে নিন ভালো করে। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

 

নারিকেলের দুধ

 

৪। নারিকেলের দুধ
নারকেলের দুধে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। নারকেলের দুধে তুলা ভিজিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে।

৫। কলা
কলা ভিটামিন এ, বি, ই, জিঙ্ক, পটাসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ। কলার ফেস প্যাক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং বলিরেখা দূর করে। একটি ছোট পাকা কলা চটকে তাতে ১ চা চামচ নারকেল দুধ, ১ চা চামচ মধু এবং গোলাপজল মেশান। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।