বন্ধু যেভাবে জীবনকে প্রভাবিত করে

গবেষণা বলছে, একজন ভালো বন্ধু থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দুঃসময়ে নিঃস্বার্থভাবে যে আঁকড়ে ধরে, সে একজন বন্ধু। বন্ধুত্বের কী প্রভাব রয়েছে জীবনে?

 

ছবি: রঙ বাংলাদেশ

  • জীবনের লক্ষ্য তৈরিতে সাহায্য করতে পারে একজন বন্ধু।
  • একাকীত্বগুলো হারিয়ে যায় বন্ধুর সংস্পর্শে।
  • হঠাৎ জীবনের বড় কোনও অঘটনে বন্ধুকে পাওয়া যায় সবচেয়ে কাছে।
  • গবেষণা মতে, বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটালে হ্যাপি হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ফলে জীবনের স্ট্রেসগুলো বিদায় জানায় ধীরে ধীরে।
  • আপনাকে আত্নবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে একজন সত্যিকারের বন্ধু।
  • আপনার অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকেও বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে বন্ধু।     

নতুন বন্ধু তৈরি করা ও বন্ধুত্ব ধরে রাখা কঠিন কেন?
একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর নতুন বন্ধু তৈরি করা বেশ কঠিন- এমনটা অভিযোগ করেন অনেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়ে জীবনে। শিক্ষাজীবন পার করে কর্মজীবনে প্রবেশ, বিয়ে, সন্তান জন্মদানসহ জীবনের নানা ধাপে পরবেশের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করার মতো সময় কমতে থাকে। যোগাযোগের অভাবেই পুরনো বন্ধুত্ব হারিয়ে যায়। আবার ঠিক একই কারণে নতুন করে বন্ধুত্ব করাও হয়ে ওঠে না। একজন মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো কিংবা তার ভালোমন্দ দিক জানার জন্য যথেষ্ট সময় আমাদের হাতে থাকে না। ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ একাকীত্ব বাড়তে থাকে আমাদের।  

বন্ধুত্ব ধরে রাখার জন্য কী করা যায়?

  • কিছু বন্ধুকে যেতে দিন। যারা জাজমেন্টাল, যারা আপনার পেছনে আপনারই বদনাম করে- তারা আপনার সত্যিকারের বন্ধু নয়। তারা জীবনে থাকার চাইতে না থাকাই বরং ভালো।
  • মনে রাখবেন, জীবনে ভালো থাকতে চাইলে অনেক বন্ধু প্রয়োজন নেই। ভালো বন্ধু সংখ্যায় কম হলেও তারাই আপনাকে ভালো রাখবে।
  • যত ব্যস্ততাই থাকুক, নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করার প্রয়োজন আপনার নিজের স্বার্থেই। সেই সময়টা বন্ধুকে দিন। একসঙ্গে সিনেমা দেখা, জগিং করা বা আড্ডা দেওয়ার মতো সময়গুলো কেবল বন্ধুত্বকেই বাঁচিয়ে রাখবে না-ভালো রাখবে আপনাকেও।
  • বন্ধুর কাছে কেবল প্রত্যাশাই রাখলেই হবে না, তার প্রয়োজনে নিঃস্বার্থভাবে করতে হবে আপনাকেও।