চুলের ধরন কেমন বুঝবেন কীভাবে?

সঠিক হেয়ার প্রোডাক্ট বেছে নেওয়ার জন্য চুলের ধরন সম্পর্কে জানা থাকা চাই। চুলের উপযোগী সঠিক প্রডাক্ট ব্যবহার করলে যেমন চুল থাকবে সুন্দর, তেমনি দূরে থাকতে পারবেন খুশকি বা চুল পড়ার মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও।

 

চুলের ধরনকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়- স্ট্রেট, ওয়েভি, কার্লি আর কয়েলড। শেপের তফাত অনুসারে এই চার ধরনের চুলের টেক্সচারেরই আলাদা আলাদা প্রয়োজনীয়তা আছে। জেনে নিন আপনার চুলের ধরন কেমন, আর কীভাবে যত্ন নেবেন।

স্ট্রেট চুল
স্ট্রেট বা সোজা চুলের বৈশিষ্ট্য হলো এর চকচকে ভাব। চুলের আকৃতি সোজা হওয়ার কারণে চুলের গোড়ায় তৈরি হওয়া তেল সহজেই পুরো চুলে ছড়িয়ে পড়ে এবং চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায়। স্ট্রেট চুল সহজেই কোঁকড়ানো সম্ভব, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা যদি পুরনো আকারে ফিরে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার চুল স্ট্রেট। এই চুল পাতলা অথবা ঘন হতে পারে। তবে এর একটা সমস্যা রয়েছে, তা হলো নির্জীবভাব। স্ট্রেট চুল সহজেই তেলতেলে ও প্রাণহীন দেখায়। তাই আপনার চুল যদি এই গোত্রের হয় তবে আপনার ভল্যুমাইজিং প্রডাক্ট দরকার।

ওয়েভি চুল
কোঁকড়ানো আর স্ট্রেট, এই দু’রকম চুলের সংমিশ্রণ হলো ওয়েভি চুল। ওয়েভি বা ঢেউ খেলানো চুল শনাক্ত করা একটু মুশকিল। কখনও আপনার মনে হবে আপনার চুল স্ট্রেট, আবার কখনও চুলের কোঁকড়ানো ভাব বেড়ে যাবে। ওয়েভি চুল অনেকটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো দেখতে। এই ধরনের চুল স্টাইল করা সবচেয়ে সহজ, আর চুলে খুব সুন্দর বাউন্সও থাকে।

কার্লি চুল
ওয়েভি চুলের সঙ্গে কার্লি বা কোঁকড়া চুল প্রায়ই গুলিয়ে যায়, কিন্তু এ দু’ধরনের চুল আলাদাভাবে শনাক্ত করার একটি অব্যর্থ উপায় রয়েছে। যাদের কোঁকড়া চুল, তাদের চুলের শেষ প্রান্তে সবসময়ই রিংলেট দেখা যায়। এমনকি ঘাড়ের সঙ্গে লেগে থাকা ছোট ছোট চুলগুলোও কুঁকড়ে থাকে। তবে কোঁকড়া চুল ঘন কোঁকড়া হতে পারে, আবার হালকা রিংও থাকতে পারে। সাধারণত এই চুলের শেষভাগে ময়শ্চারাইজারের পরিমাণ কম হয়, তাই এই অংশে বেশি করে আর্দ্রতার জোগান দরকার।

কয়েলড চুল
এই চুল অনেক বেশি পরিমাণে কোঁকড়ানো হয়, অনেকটা এক মিলিমিটার বা তার চেয়েও ছোট ব্যাসার্ধের কার্লিং ওয়ান্ড দিয়ে চুল কার্ল করলে যেমন হবে, সেই রকম। অতিরিক্ত কার্লের জন্য স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল পুরো চুলে পৌঁছোতে পারে না। তাই এই ধরনের চুল সবচেয়ে শুষ্ক এবং তা সামাল দেওয়াও বেশ কঠিন।