বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

মাদকাসক্তি কি নিরাময়যোগ্য?

প্রশ্ন: মাদকাসক্তি কি নিরাময়যোগ্য?

উত্তর: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। একবার কেউ মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে চিকিৎসা করলে বা কোন মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি থেকে আসক্তিমুক্ত হবার পরে পুনরায় তাকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়তে প্রায়ই দেখা যায়। এজন্য অনেকেরই ধারণা মাদকাসক্তি সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মাদকাসক্তি নিরাময়যোগ্য নয়, এই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেক মাদকাসক্ত ব্যক্তি হাল ছেড়ে দিয়ে নিজেকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেয় এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পুনরায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি এমনিতেই বেড়ে যায়। যথাযথ কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

 

প্রশ্ন: আমার বড় ভাই বিয়ে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাসায় থাকেন। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কী করণীয়?

উত্তর: জীবনের বিভিন্ন গুরুতর ঘটনা বা লাইফ ইভেন্টের কারণে মানুষের পক্ষে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। লাইফ ইভেন্ট শুধু যে নেগেটিভ হতে হবে (যেমন বিবাহবিচ্ছেদ, আপনজনের মৃত্যু বা দুরারোগ্য ব্যাধি, পরীক্ষায় অকৃতকার্য) তাও নয়। পজিটিভ লাইফ ইভেন্টও স্ট্রেস তৈরি করতে পারে যা থেকে বিষণ্ণতা তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে মনে রাখতে হবে, এই মানসিক বিপর্যয় ব্যক্তির পেশাগত জীবনকে একটানা অন্তত মাসখানেকের জন্যও ব্যহত করছে কি না। পেশা বলতে, একজন চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে তার চাকরি, ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যবসা বা ছাত্রের ক্ষেত্রে পড়াশোনা। আপনার ভাইয়ের ক্ষেত্রে যদি উনি ৪ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাসায় বসে থাকেন, তাহলে উনি বিষণ্ণতা রোগে ভুগছেন। উনাকে অনতিবিলম্বে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। উনার এই পর্যায়ে ওষুধ এবং কাউন্সেলিং দুটোই প্রয়োজন। আরেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আপনাকে লক্ষ করতে হবে যে, উনার ভেতরে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে কিনা। এ রকম কোনও লক্ষণ বুঝতে পারলে তাকে জরুরিভাবে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে কোনও সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে