গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে দেশবাসী। গরমে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বাড়ে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিও। এ সময় তাই পর্যাপ্ত পানি ও পানিজাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এমন খাবার পাতে রাখা যায় যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা রাখে শরীর। জেনে নিন কোন কোন খাবার শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
- এই গরমে শরীর শীতল রাখতে খান শসা। এতে ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। শসা খেলে হজমের গণ্ডগোল দূর হয়, পাশাপাশি তীব্র গরমে শরীরের পানির চাহিদাও মেটায় এটি।
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে টক দই অথবা বাটারমিল্ক খেতে পারেন। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ এই দুই দুগ্ধজাত খাবার খেলে হজমের গণ্ডগোলও দূর হবে। দইয়ের সঙ্গে জিরার গুঁড়া, পুদিনা পাতা ও লবণ মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন স্বাস্থ্যকর পানীয়। গরমে আরামও দেবে এটি।
- প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে চাইলে ডাবের পানি খান প্রতিদিন। এতে থাকা উপকারী বিভিন্ন খনিজ উপাদান শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। হজমের জন্যও সহায়ক ডাবের পানি।
- লেমনেড খেতে পারেন এই গরমে। ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে এই পানীয়। লেবুপানি হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারে ভূমিকা। কিছু পুদিনা পাতা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিতে পারেন লেমোনেডে।
- শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় কাঁচা আমের শরবত।
- বাজারে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। গরমের সময় শরীরকে আরাম দেয় রসালো তরমুজ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এছাড়া তরমুজের প্রায় পুরোটাই পানি। ফলে স্বাভাবিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এই ফল।
- আপেলের ৮৬ শতাংশই পানি। শরীরের বাড়তি পানির চাহিদা মেটাতে তাই প্রতিদিন খান আপেল। আঁশসমৃদ্ধ আপেল খেলে দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্যও।
- সাইট্রাস ফল খান। এগুলো ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস। এছাড়া সাইট্রাস ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শীতল থাকতে সাহায্য করে।
- প্রাকৃতিকভাবে শরীর শীতল করতে পারে পুদিনা পাতা। এই সময় ডায়েটে তাই ভেষজটি যোগ করা জরুরি। সালাদ, জুস বা শরবতে মিশিয়ে নিতে পারেন পুদিনা পাতা।
- শরীর ঠান্ডা রাখতে পারে কলা। প্রতিদিন কলা খান গরমে সুস্থ থাকতে। কলা যেমন তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দেয়, তেমনি আমাদের শরীরের টিস্যুগুলোকে বাড়তি পানি শুষে নিতে সহায়তা করে। ফলে নিয়মিত কলা খেলে শরীর সতেজ থাকে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হেলথলাইন