ঠান্ডা-কাশি সারাবে তুলসী

মধু ও তুলসী পাতা ঠান্ডা-কাশির অস্বস্তি দূর করতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এই ভেষজ শিশুদের ঠান্ডা সারাতেও বেশ কাজে আসে। এছাড়াও নানা উপকারিতা রয়েছে ঔষধি গুণ সম্পন্ন তুলসী পাতার। জেনে নিন সেগুলো কী কী।

 

  • প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই ঠান্ডা, কাশি সারাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তুলসী পাতা। তুলসী পাতা ও মধু একসাথে নিয়মিত কয়েকদিন খেলে ঠান্ডা কিংবা কাশি সেরে যায় খুব সহজেই।
  • শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে রয়েছে তুলসী পাতার ভূমিকা। এই ভেষজে রয়েছে লিনোলেয়িক অ্যাসিড যা আমাদের শ্বাসতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এই অ্যাসিড ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী।
  • যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য দারুণ একটি টোটকা হলো ‍তুলসী পাউডার। তুলসী পাউডারের সঙ্গে নিম অথবা হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
  • ক্লিনিং ও ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে তুলসী। এতে উপস্থিত নানা ধরনের ফাইটোকেমিক্যালস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস মূলত এই ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • তুলসী চা পান করলে দূর হবে ক্লান্তি। এছাড়া এই চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।
  • প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে তুলসী পাতায়। আমাদের সুস্থতার জন্য আবশ্যক এসব ভিটামিন।
  • তুলসীতে থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।