আখনি বিরিয়ানী একটু সময় সাপেক্ষ!

আখনি বিরিয়ানী

চট্টগ্রামের কোনও আয়োজন মানেই আখনি নতুবা মেজবানি গরুর মাংস। এসব ছাড়া উৎসব হতেই পারে না। আপনি যদি চট্টগ্রামের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে সপ্তাহে একবার আখনি খাওয়া আপনার জন্য ডাল-ভাত। কিন্তু এর বাইরের লোকদের কি হবে? তাদের জন্য আজকে বাংলা ট্রিবিউনের আখনি বিরিয়ানী রেসিপি। একটু সময় লাগলেও অসাধারণ এই বিরিয়ানীটি এক বৈঠকে তিন প্লেট সাবাড় করা আপনার জন্য কোনও ব্যাপারই না।

আখনি সাধারণত মশলা দিয়ে একটি বিশেষ পানি তৈরির পদ্ধতির নাম। সেই পানি দিয়ে পোলাউ হবে এবং আলাদা করে রান্না করা মাংস মেশানো হবে তার সঙ্গে। এটিই আখনির বিশেষত্ব।ও আরেকটি কথা, আখনি কিন্তু সেদ্ধ চাল দিয়ে রান্না করতে হয়। ঝটপট জেনে নেই আখনি তৈরির প্রণালী।

উপকরণ :

মাংসের জন্য: গরুর মাংস ১ কেজি, তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, ধনে বাটা ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, গোলমরিচ আধা চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী আধা চা-চামচ, মেথি ও মৌরি বাটা আধা চা-চামচ, তেজপাতা ৩-৪টা, গরম মসলা বাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ।

পোলাওয়ের জন্য : সেদ্ধ চাল ১ কেজি, লবণ পরিমাণ মতো, তেল আধা কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ,  কাঁচা মরিচ ৮-১০টা, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, আখনি পানি-৭ কাপ, কেওড়া ৩ টেবিল চামচ।

আখনি পানি তৈরির প্রদ্ধতি: পানি - ১৪ কাপ, রসুন- ৩ টি , আদা কুচি - ২ টেবিল চামচ, এলাচ- ৮টা, লবঙ্গ - ৮ টা , দারচিনি - ৪টা মাঝারি টুকরা, তেজপাতা- ৪ টা, আস্ত গোল মরিচ – ১০/১২টা , মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,   পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ,

সব উপকরণ দিয়ে এক ১৪ কাপ পানি চাপিয়ে দিন চুলায়। মশলা সেদ্ধ হয়ে পানি ৭ কাপে নেমে আসলে ছেঁকে নিন পানি।

বিরিয়ানী তৈরির প্রণালী: মাংসে সব মসলা মেখে আধা ঘণ্টা রেখে তেলে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে মাংস ঢেলে দিতে হবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনে পানি দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে।

এবার আখনি পানিতে পানিতে চাল ঢেলে ঘি, বেরেস্তা,লবণ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে মাংস দিতে হবে। মাংস ভালোভাবে নেড়ে কিশমিশ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কম আঁচে ঢেকে রাখতে হবে। কেওড়া জল দিয়ে নামাতে হবে।

গরম গরম আখনি খান।

/এফএএন/