ক্যাপসিকাম খাওয়ার ৭ উপকারিতা

নানা রঙের ক্যাপসিকাম দেখতে যেমন চমৎকার, তেমনি এগুলো পুষ্টিগুণেও অনন্য। পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয় ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারকে। এগুলো কাঁচা খেলে উপকার মিলবে বেশি। নুডলস, পাস্তা কিংবা সালাদে মিশিয়েও খাওয়া যায় ক্যাপসিকাম। অলিভ অয়েলে হালকা নেড়ে নিয়েও খেতে পারেন। তবে বেশিক্ষণ রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।  

কোন কোন উপাদান মেলে ক্যাপসিকামে

  • কার্বোহাইড্রেট
  • প্রোটিন 
  • ক্যালোরি 
  • পটাশিয়াম
  • ফোলেট
  • ভিটামিন কে ১
  • ভিটামিন বি ৬ 
  • ভিটামিন সি
  • ভিটামিন ই
  • ফাইবার
  • আয়রন
  • ক্যালসিয়াম
  • মলিবডেনাম
  • কপার
  • ম্যাংগানিজ
  • অ্যামিনো অ্যাসিড
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট 

যেসব উপকার মিলবে ক্যাপসিকাম খেলে 

  1. প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ থাকে ক্যাপসিকামে। এতে কার্বোহাইড্রেট তুলনামূলকভাবে কম থাকে। ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস হিসেবেও কাজ করে সবজিটি। ফলে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত খান ক্যাপসিকাম।
  2. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ক্যাপসিকাম থেকে। বিশেষ করে লাল ক্যাপসিকামে ভিটামিন সি থাকে অনেক বেশি। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। 
  3. ক্যাপসিকামে উদ্ভিদ যৌগের উৎস। প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আছে এতে। উদ্ভিদ যৌগে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ভিটামিন সি, ফেনোলিক যৌগ এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো উপাদান। এগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে আমাদের।
  4. ক্যাপসিকাম ক্যালোরি কম, কিন্তু ফাইবার বেশি। ওজন ঠিক রাখতে তাই সবজিটি পাতে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। 
  5. ক্যাপসিকামে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদানটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। এছাড়া ক্যাপসাইসিন স্থূলতা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
  6. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে বেল পেপার। বেশ কয়েকটি গবেষণা বলছে, উপকারী এই সবজিতে থাকা ক্যারোটিনয়েড ছানি এবং ম্যাকুলার অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে পারে। 
  7. রক্তাল্পতার কারণে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে যায়। রক্তশূন্যতার কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো আয়রনের ঘাটতি। ক্যাপসিকাম শুধু আয়রনেরই চমৎকার উৎস নয়, পাশাপাশি তারা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই ভিটামিনটি অন্ত্র থেকে আয়রনের শোষণ বাড়ায়।


তথ্য: মেডিক্যাল নিউজ টুডে, হেলথলাইন