হাঁসের মাংস খেতে নীলা বাজারে

ঢাকা শহরে শীত একটু কমই পড়ে। তবে মাঝে মাঝে হঠাৎ কুয়াশায় ছেয়ে যায় প্রকৃতি। হিম হিম বাতাসে কাঁপন ধরে শরীরে। সূর্যটাও যেন রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে কুয়াশা আর মেঘের ভেতরে ডুব দেয়। এমন এক শীতের বিকেলে গরম গরম চিতই পিঠা, চালের আটার রুটি, চাপটি কিংবা ছিটা রুটি দিয়ে ঝাল ঝাল হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ ইচ্ছে করে।

লাকড়ির চুলায় রান্না হচ্ছে হাঁস ও গরুর মাংস। ছবি- লেখক

শীতকালে হাঁসের শরীরে চর্বি জমে। ফলে হাঁসের মাংসের স্বাদ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ফলে শীত এলেই পাড়ায় পাড়ায় ধুম পড়ে যায় হাঁস খাওয়ার। শীতের বিকেল বা সন্ধ্যায় হাঁসের মাংস খেতে চাইলে ছুট লাগাতে পারেন ৩০০ ফিটের রূপগঞ্জের নীলা বাজারে।

শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের পাশেই নদীর তীর ঘেঁষে গ্রামীণ এ বাজারের অবস্থান। গিয়ে দেখা গেল লাকড়ির চুলায় রান্না হচ্ছে হাঁসের মাংস আর গরুর মাংস। পাশেই চলছে চিতই, রুমালি রুটি, চাপটি আর ছিটা রুটি বানানোর ধুম। মাংসের পাশাপাশি শুঁটকি ভর্তা, টমেটো ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তাসহ নানারকম ভর্তাও রয়েছে। মাংসের দাম পড়বে প্লেট প্রতি ২৫০ টাকা। রুটি, মাংস দিয়ে জম্পেস খাওয়া শেষে তন্দুরি চায়ে চুমুক দিতে পারবেন।  

চাপটি কিংবা ছিটা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন হাঁসের মাংস ও গরুর মাংস। ছবি- লেখক

পিঠা ও মাংসের পাশাপাশি নানা ধরনের মিষ্টির দেখাও মিলবে এখানে। ঐতিহ্যবাহী বালিশ মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, রসগোল্লা, জিলাপি, দই পেয়ে যাবেন নীলা বাজারে।

তান্দুরি চা রয়েছে এখানে। ছবি- লেখক

ছাউনি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী দোকানগুলোর বসার জায়গাও বেশ ছিমছাম। শহরের কোলাহলের রেশ তেমন নেই এখানে। শীতের বিকেল বা সন্ধ্যা কাটানোর জন্য বেশ মনোরম জায়গাটি।

নদীর তীর ঘেঁষে রয়েছে বসার জায়গা। ছবি- লেখক

কুড়িল-বিশ্বরোড থেকে বাসে যেতে পারবেন নীলা বাজারে। নীলা বাজার মোড়ে নেমে সামান্য হাঁটাপথে গেলেই পেয়ে যাবেন বাজারটি। কুড়িল-বিশ্বরোড থেকে রিজার্ভ করা অটোরিকশায় চড়েও সরাসরি যেতে পারবেন নীলা বাজার।