ভিটামিন ডি কমে গেলে বোঝা যায় এই ৭ লক্ষণে

একেবারেই রোদের সংস্পর্শে না আসলে কিংবা খুব কম আসলে বাড়ে ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার ঝুঁকি। যাদের দুধজাতীয় খাবারে এলার্জি বা যারা আমিষজাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসেন না, তারাও এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভোগার ঝুঁকিতে আছেন। শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ডি সানশাইন ভিটামিন হিসেবে পরিচিত। ত্বকে রোদ লাগলে শরীর উৎপাদন করে ভিটামিন ডি। ক্যালসিয়াম শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ভিটামিন। শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না পেলে নানাভাবে সেটা জানান দেয়। প্রাথমিকভাবে হাড় ও পেশী ব্যথার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেওয়া শুরু হয়। কারণ হাড়ের ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং হাড় গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভিটামিন। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রিকেটস রোগের কারণ হতে পারে। এটি এমন একটি রোগ, যেখানে হাড়ের টিস্যু সঠিকভাবে খনিজকরণ করে না, যা নরম হাড় এবং হাড়ের বিকৃতির জন্য দায়ী। এছাড়া আরও কিছু লক্ষণ দেখা দেয় পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাবে। জেনে নিন সেগুলো কী কী।

 

  1. ক্লান্তবোধ করা ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার লক্ষণ। শরীরের এনার্জি লেভেল কমতে শুরু করে এই ভিটামিনের অভাবে, ফলে অল্প কাজ করেও লাগতে পারে ক্লান্ত। 
  2. ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। প্রায়ই সর্দি-কাশি বা ফ্লুতে ভোগার জন্য দায়ী হতে পারে ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রা। 
  3. ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়, জয়েন্ট, পিঠ ও স্নায়ুতে ব্যথা হতে পারে। 
  4. ভিটামিন ডি এর অভাবের সঙ্গে বিষণ্ণতার সম্পর্ক রয়েছে। কোনও কারণ ছাড়াই বিষণ্ণ লাগলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা পরীক্ষা করে নিন।
  5. অত্যধিক চুল পড়া হতে পারে ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার লক্ষণ।
  6. অস্ত্রোপচার বা আঘাতের পরে ধীরে ধীরে ক্ষত নিরাময় হওয়া ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ হতে পারে। 
  7. বাড়তি ওজনের কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। 

তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি ও হেলথলাইন