বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে উপন্যাসটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় লেখক নিজেই জানান কিভাবে তিনি কাহিনিটি এতদিন নিজের মধ্যে ধারণ করেছিলেন। প্রকাশনা উৎসবে উপস্থিত বিশিষ্টজনরাও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন লেখকের লেখার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের। আশা প্রকাশ করেন, লেখনীর মাধ্যমেই যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন তিনি।
জেমকন গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজী শাহেদ আহমেদের এটি তৃতীয় উপন্যাস। ‘ভৈরব’ ও ‘পাশা’ নামে তার আরও দুটি বিপুল সমাদৃত উপন্যাস রয়েছে। ‘ভৈরব’ ইংরেজিতেও অনূদিত হয়েছে।
‘দাঁতে কাটা পেনসিল’ উপন্যাসটি লেখার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কাজী শাহেদ আহমেদ বলেন,‘৭২ বছর ধরেই বইটির কাহিনী মাথায় ঘুরপাক খেয়ে আসছিল। অবশেষে অনেক কষ্টে লিখেই ফেললাম। বইটি সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে পারি, এটি পড়তে বিরক্ত হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। একবার পড়া শুরু করলে বই ছেড়ে ওঠা কঠিন হবে বলে আমি মনে করি। চেষ্টা করেছি খুবই যত্ম নিয়ে বইটি লেখা শেষ করতে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে কাজী শাহেদের যে রচনাগুলো প্রকাশ পেয়েছে, সবগুলোতে দেখেছি নতুন নতুন চমক নিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন। তার লেখনীর মাধুর্য্য আমাদের মুগ্ধ করেছে। এছাড়া, আজকের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তাকে তৎকালীন সময়ে আরও একটি নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেয়। আমি দোয়া করি ‘দাঁতে কাটা পেনসিল’ তার শেষ রচনা হবে না, তিনি আমাদের জন্য আরও ভালো ভালো রচনা উপহার দেবেন।’
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন