বিদেশি শক্তিগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে চেষ্টা করবে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস আছে দেখিয়ে দেশ নিয়ে খেলতে। আমি বেঁচে থাকতে এই দেশ নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না।
বৃহস্পতিবার দশম সংসদের দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে একথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে আরও সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
সন্ত্রাস দমনে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, “আমাদের এই মাটিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের স্থান নেই। সন্ত্রাস দমনে যথেষ্ট কঠোর পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।
আরও পড়ুন:
ধর্মের নামে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে হত্যা করে বেহেশতে যেতে পারবেন না, দোজখে যেতে হবে। কারণ, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কাউকে হত্যার লাইসেন্স দেয় না।
সব নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা শহরে সকলে যেন সজাগ থাকেন, কারও ছেলে-মেয়ে যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হয়।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে দায়ী করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন দেশটা ছিল হত্যা-খুন, দুর্নীতি আর সন্ত্রাসের দেশ।
আরও পড়ুন:
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা অনেক মানুষকে গৃহহারা করেছে। কতো মেয়ে গ্যাং রেইপ হয়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে দেখিয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, “এখানে উপস্থিত মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতাও তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে সে সময় জেলে পুরে রাখা হয়েছিল।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচির কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে সরকার উৎখাতের নামে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল। ২০১৪ ও ১৫ সালে প্রায় পাঁচশ’র কাছাকাছি মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। প্রায় দুই হাজার মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। প্রায় আড়াই হাজার বাস-ট্রাক ও রেল পুড়িয়েছে।
বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অপরাধী মনোভাব বলেই মামলা মোকাবিলা করতে উনি ভয় পান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বক্তৃতা দেন, সংবাদ সম্মেলন করেন, আর মামলার সময় বলেন অসুস্থ। সাহস থাকলে নির্দোষ হলে মামলা মোকাবিলা করুন।
ইএইচএস/এপিএইচ/