‘আমি নিশ্চল হয়ে গেলাম’


হলি আর্টিজান বেকারি (ফাইল ছবি)গুলশান হামলার সময় এবং পরে জঙ্গিদের হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা দেখে অনেকেই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। যারা জিম্মি ছিলেন তারাও ছিলেন প্রাণ সংশয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন গুলশান হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের একজন ভারতের নাগরিক সাত প্রাকাশ। আদালতে সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দেন।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার সময় আমি রেস্তোরাঁর ভেতরে সামনের দিকে মুখ করা একটি টেবিলে বসেছিলাম। খাবার অর্ডার করে এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ আমি দুই তিনজন ছেলেকে দেখতে পাই। তারা ধাক্কাধাক্কি করে রেস্টুরেন্টের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকছিল। এমন সময় আমি একটা শব্দ শুনতে পাই, যা আমার কাছে বোমার শব্দের মতো মনে হলো। হঠাৎ ছয় সাতজন রেস্টুরেন্টের দিকে দৌড়ে এলেন। আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। নিশ্চল হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই। একজনকে পড়ে যেতে দেখলাম। একই সময়ে  ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি শুনতে পেলাম। আমি একটি পিলারের আড়ালে লুকানোর চেষ্টা করলাম।’

/এসটি/এপিএইচ/

আরও পড়ুন:

হত্যার পর মোবাইলে খবর পড়ে হামলাকারীরা

‘ভাইয়েরা তাদের নিয়ে গর্বিত’

তাহমিদ-হাসনাতকে নিয়ে যা যা বললেন সাত প্রকাশ

ইংরেজি জবানবন্দির একটি বাক্য বাংলায়

মিডিয়া বা পুলিশের কাউকে চেনেন?

‘ইয়েস, আমি বাঙালি’

মোবাইলগুলো কেড়ে নেয় হামলাকারীরা

ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছিলেন নারীরা

তাহমিদের হাতে কোরআন শরিফ দেয় এক হামলাকারী