হলি আর্টিজানে হামলা চালানোর পরপরই সেখানে থাকা লোকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। তবে পরে তাদেরকে ফোনগুলো ফেরত দেয় ও বাইরের লোকদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়। গুলশান হামলায় বেঁচে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক সাত প্রাকাশ আদালতে সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান।
ইংরেজিতে লেখা জবানবন্দিতে গুলশান হামলার রাতে যা যা দেখেছেন তার বর্ণনা তুলে ধরেছেন সাত প্রাকাশ। তিনি জানান, জঙ্গিরা রেস্টুরেন্টের ভেতর ঢুকে পড়লে তিনি একটি পিলারের আড়ালে লুকানোর চেষ্টা করেন। এই সময় এক জঙ্গি তাকে আড়াল থেকে বের হয়ে আসতে বলে এবং মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। তবে পরে জিম্মিদের আবার ফোন ব্যবহার করতে দেয় জঙ্গিরা।
জবানবন্দিতে সাত প্রাকাশ বলেছেন, ‘তারা আমাদের মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করতে বলে। আমি নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে ফেলি। একজন হামলাকারী আমার কাছে জানতে চায় মিডিয়ায় কিংবা পুলিশের কাউকে আমি চিনি কিনা। আমি জবাব দেই ‘না’। এ কথা শুনে এক মেয়ে তার মাকে ফোন করে লাউড স্পিকারে কথা বলে।’
তিনি জানান, ‘এরপর আরেকটি ফোন বেজে ওঠে। আমার সামনে বসা এক ব্যক্তি লাউড স্পিকারে কথা বলেন। (পরে আমি জেনেছি তিনি হাসনাত)। ফোনের বলা কথাগুলো আমি মনে করতে পারছি না।’
/এফএস/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
হত্যার পর মোবাইলে খবর পড়ে হামলাকারীরা
তাহমিদ-হাসনাতকে নিয়ে যা যা বললেন সাত প্রকাশ
ইংরেজি জবানবন্দির একটি বাক্য বাংলায়
মিডিয়া বা পুলিশের কাউকে চেনেন?
ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছিলেন নারীরা
তাহমিদের হাতে কোরআন শরিফ দেয় এক হামলাকারী