দেরি হওয়ায় বেঁচে গেলেন তন্ময়!


সাত প্রকাশের দেওয়া জবানবন্দিহলি আর্টিজানে খাওয়াবেন বলে বন্ধু তন্ময়কে ফোন করেছিলেন সাত প্রাকাশ। একটু দেরি হবে বলে সাত প্রাকাশকে অপেক্ষা করতে বলেন তন্ময়। আর তাতেই বেঁচে যান তিনি। আদালতে দেওয়া সাত প্রাকাশের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সাত প্রাকাশ বলেন, দিনটি ছিল শুক্রবার। আমি হলি আর্টিজান বেকারিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার গাড়ি নিয়ে সেখানে যাই। গাড়ি পার্কিং করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেস্তোরাঁর ভেতরে যাই। সেখানে সামনের দিকে মুখ করা কোণার দিকের টেবিলে বসি।
সাত প্রাকাশ বলেন, টেবিলে বসে তন্ময় নামে এক বন্ধুকে ফোন করি। সে আমাকে জানায়, খাবার মিস করতে চায় না। কিন্তু তার আসতে দেরি হবে। আমি পাস্তা ও কমলার জুস অর্ডার দেই। তারা আমাকে কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে পাউরুটি ও সসেজ দিলো। আমি আমার বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আর এমন সময়েই দেখি, দুই তিনজন ছেলে ধাক্কাধাক্কি করে রেস্টুরেন্টের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকছে। পর মুহূর্তে বোমা ও গুলির শব্দ। আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। স্থবির হয়ে গেলাম।

আরও পড়ুন:

হত্যার পর মোবাইলে খবর পড়ে হামলাকারীরা

‘ভাইয়েরা তাদের নিয়ে গর্বিত’

তাহমিদ-হাসনাতকে নিয়ে যা যা বললেন সাত প্রকাশ

ইংরেজি জবানবন্দির একটি বাক্য বাংলায়

মিডিয়া বা পুলিশের কাউকে চেনেন?

‘ইয়েস, আমি বাঙালি’

মোবাইলগুলো কেড়ে নেয় হামলাকারীরা

ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছিলেন নারীরা

‘আমি নিশ্চল হয়ে গেলাম’

তাহমিদের হাতে কোরআন শরিফ দেয় এক হামলাকারী

/জেইউ/এমও/