এবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের ধর্মঘটের হুমকি






সিএনজি মালিকদের সংবাদ সম্মেলনপেট্রোল পাম্প মালিকদের পর এবার সিএনজি স্টেশন মালিকরা ধর্মঘটের হুমকি দিলেন। তিন দফা দাবিতে তারা এ ধর্মঘটের হুমকি দেন। দাবি পূরণ না হলে ৩০ অক্টোবর থেকে ধর্মঘট পালন করবেন তারা। বুধবার বিকালে বিজয়নগরে সিএনজি ফিলিং স্টেশনস অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

সিএনজি মালিকদের তিনটি দাবির মধ্যে রয়েছে—সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ইজারা মাসুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল, কোম্পানিগুলোর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বাস্তবায়ন।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ খান বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের জমি লিজ নিয়ে অনেকে সিএনজি স্টেশন করেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সিএনজি স্টেশনের জমির মাশুল ২২ গুণ বাড়িয়েছে। আবারও সিএনজির দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের দাবি বাস্তবায়নে কয়েকটি সুপারিশ করে। ২০১৪ সালে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

মাসুদ খান বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো ইতোমধ্যে সরকারকে জানিয়েছি। দাবিগুলো পূরণ না হলে এ খাতকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বিষয়টা আমরা সরকারকে আবারও জানিয়েছি। দাবি পূরণ না হলে ৩০ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে শুরু হবে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে ধর্মঘট চলবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর, পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের জমির ইজারা মাসুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১২ দফা দাবিতে ৩০ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। ১৯ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটের এ হুমকি দেন ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক।

ওএফ/এমএনএইচ/ 

আরও পড়ুন: ৩০ অক্টোবর থেকে পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট