মিরপুরের আস্তানা থেকে ৭টি মৃতদেহ উদ্ধার

মিরপুরের জঙ্গি আস্তানারাজধানীর মিরপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে ৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো জঙ্গি আবদুল্লাহ, তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ও দুই সহযোগীর। তবে লাশগুলো এমনভাবে পুড়েছে যে কোনটা কার লাশ তা শনাক্ত করা যায়নি। পরে ডিনএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় জানানো হবে।

ঘটনাস্থলে র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজিন আহমেদ এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে পঞ্চম তলায় বিস্ফোরণের পর ২/২ ফুট গর্ত হয়ে আগুন চার তলায় ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। চার তলা পর্যন্ত পরিষ্কার করা হয়েছে। পাঁচতলার তাপমাত্রা এখন অনেক বেশি। ৫০-৫৫ ডিগ্রি তাপমাত্র রয়েছে সেখানে। বেশিক্ষণ সেখানে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুরো পঞ্চম তলা  পরিষ্কার করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। সেখানে থাকা সব বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ হয়েছে।

13

র‍্যাবের ডিজি বলেন, ২০০৫ সালে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয় জঙ্গি আবদুল্লাহ। ২০১৩ সালে তিনি নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয়। তার বাসায় জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হতো। এছাড়া তিনি জঙ্গিদের অর্থের যোগান দিয়েছে। ওই বাসায় সরোয়ার জাহান, তামিম চৌধুরীর যাতায়াত ছিল। সরোয়ার-তামিম গ্রুপের একজন শুরা সদস্য কারাগারে বন্দি আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই আবদুল্লাহর নাম জানতে পেরেছিল র‍্যাব। বছর খানেক ধরেই তারা আবদুল্লাহকে খুঁজছিল। অবশেষে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচানো সম্ভব হলো। তার বাসায় যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল তা দিয়ে বড় ধরেন নাশকতা চালানো সম্ভব হতো।

6

র‍্যাবের ফরেনসিক টিমের একজন সদস্য বলেন, পঞ্চম তলার রুমের ফ্ল্যাটের তিন রুমে মৃতদেহগুলো ছড়ানো ছিটানো ছিল।

এর আগে সকাল থেকে জঙ্গি আস্তানায় দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু করে র‍্যাব।

আরও পড়ুন-

জঙ্গি আস্তানার একটি ঘরে তিনটি লাশ

 
 

মিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় র‍্যাবের অভিযান শুরু

 

ড্রোন দিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, জঙ্গি আস্তানার ভেতরে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস

আত্মসমর্পণে রাজি জঙ্গি আব্দুল্লাহ: র‌্যাব

মিরপুরের ‘জঙ্গি আস্তানা’য় বিস্ফোরণ, চলছে র‌্যাবের অভিযান